আরিফ মোল্ল্যা,ঝিনাইদহ: পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি আমার বাবার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীই ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। একজন খুনির জায়গা আ’লীগে থাকতে পারে না। তাকে এখনই দল থেকে বহিস্কার করা হোক। সেই সাথেই বাবার খুনের সাথে জড়িত কালীগঞ্জে যদি কেউ মিন্টুর অনুসারী থেকে থাকে তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হোক।
রোববার (২৩ জুন) বিকালে কালীগঞ্জ বাসটার্মিনালে আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৫তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী ও ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সমাবেশে এমপি কন্যা ডরিন এ কথাগুলো বলেন।
প্রায় ১০ হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মঞ্চে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ডরিন বলেন, আমার বাবা আমাদের পরিবারকে বেশি সময় দিতেন না। তিনি সারাদিন এলাকার মানুষের কল্যাণে ছুটে বেড়াতেন। মৃত মানুষের জানাযায় যেতেন। বাবা হত্যাকাণ্ডের পর আজকের এই প্রতিবাদ সভায় আপনাদের উপস্থিতি দেখেই বুঝতে পারছি তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন। আপনাদের ভালবাসায় বাবা এই আসনে তিন তিন বার এমপি হয়েছেন। আজ রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকারে তাকে খুন হতে হয়েছে। আমি আমার বাবার খুনিদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী সভাপতিত্বে¡ আরও বক্তৃতা করেন. উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, কালীগঞ্জ কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম আশরাফ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিল্টন, আবুল কালাম আজাদ, আ’লীগ নেতা রাশেদ শমসের, জহুরুল ইসলাম ও সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আ’লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, এমপি আনার খুনের পর কালীগঞ্জে যারা রঙ্গিন পোষ্টার বানিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে ঈদ উৎসব শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারাও আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। এমন নৃশংশ হত্যার সঠিক তদন্ত করে জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা এমপি আনারকে খুন করে তার অনুসারী ভক্তদের দমানো যাবে না। তারা বলেন, জীবিত আনারের চেয়েও মৃত আনার অনেক শক্তিশালী।