মৃগী নদীতে কীটনাশক প্রয়োগ, জীববৈচিত্র হুমকির মুখে

নদী
শেরপুর মৃগী নদীতে কীটনাশক প্রয়োগ

পিবিএ, শেরপুর : মৃগী নদীতে রাতের আঁধারে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে ছোট-বড় সব মাছ মরে ভেসে উঠছে। রাতে দুর্বৃত্তের দেয়া কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় মাছ, ব্যাঙ, সাপসহ জলজ প্রায় সব প্রাণীই মারা যাচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

মোবারকপুরের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের এলাকায় নদীর এ অংশে কীটনাশক দেয়া হয়েছে। কীটনাশক মেশানোর কারনে নদীর পানি নষ্ট হয়ে গেছে। নদীতে এখন গোসল করলে পানি কাঁমড়ায়। বিষক্রিয়ায় মাছ, ব্যাঙ মরে ভেসে উঠছে তা খেয়ে হাঁস মারা যাচ্ছে। “মাছগুলা এভাবে মাইরা ফেলছে ক্যারা যে, তারে ধরা দরকার। ডিম ওয়ালা মা-মাছগুলা মরে গেলে খালে আর মাছ আইবো কই থাইক্কা। য়াশ( হাঁস) গুলাও মইরা যাইতেছে, মাইনষের মায়াদয়া কিচ্ছু নায়” এভাবেই কথা গুলো বলছিলো ছবিরুন বেগম।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ একতা সংঘের সভাপতি আরিফুর রহমান আকিব বলেন, এটি একটি ন্যাক্কারজনক কাজ। রাতের অন্ধকারে কীটনাশক প্রয়োগ করার পর থেকে মাছগুলো মরে যাচ্ছে। কেউ যেন কীটনাশক প্রয়োগ না করে এ ব্যাপারে আমরা স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধি
করছি।

সেভ দ্যা ন্যাচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ বিডি’র জেলা সমন্বয়ক আরিফুর রহমান সজিব বিএসসি বলেন, এ জাতীয় কীটনাশক যেখানে প্রয়োগ করা হয়, সেখানের ছোটবড় সব ধরনের মাছই মারা যায়। দুষ্কৃতিকারীরা বড় মাছ গুলো সংগ্রহ করে। ছোট মাছগুলো সাধারণত নেয় না। কিন্তু ছোট মাছগুলো ছিল বড় মাছের খাবার। আবার বক, পানিকৌড়, মাছরাঙা, চিল ইত্যাদি পাখি নদীর মাছ খায়, বিষক্রিয়ায় মাছ কমে যাওয়ায় অই অঞ্চলে এসব পাখির খাদ্যাভাব দেখা দিবে। এতে অই অঞ্চলের জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে।

পিবিএ/ এনআই/জেডআই

আরও পড়ুন...