মেঘলা ইসলামের কবিতা

অদম্য যাত্রা

কোনো জবাব না দেয়াও এক প্রকার জবাব হয় ,

তবে আজ আর তা বোধগম্য নয় !

নিস্ক্রিয় দর্শক রইবো কতকাল ,

বাজারে কাটছো আমায়, মুক্ত হতে চাওয়ায় ,

সাদা পাতায় কালো দাগ, নারী হয়ে জন্মানোই কি পাপ !

জন্মলগ্নেই বলো পরের ধন, পরস্ত্রী ভেবে নেওনা যতন ,

সব ছেড়ে যখন আরেক ঘরে, ওরাও নেয়না আপন করে,

তোমাদের ঘর আর সংসার সাজিয়ে, শতভাগ চেষ্টা দিয়ে যখন অফিসে ,

এরপরেও দূরবল বলে,পদবী বাড়াতে চাওনা ,

কই ঋতুস্রাবেতো বাড়তি বন্ধ দেওনা !

শুনতে চাই না আর পুতুল নাচের ইতিকথা ,

দ্বিতীয় লিঙ্গের জন্য নয় আর অপেক্ষা ,

আমার ঠিকানা কেনো হবে, তোমার দেখানো আঙ্গিনা !

বৃষ্টি হয়ে আমার,অঝরে ঝড়ে যাওয়া ,

তোমার জমিতে ধানের প্রয়োজনে আমাকে চাওয়া !

কটু কথায় আমাকে জড়িয়ে, কতোই না আনন্দ তোমার হৃদয়ে ,

আমার পোশাক, মনের খোরাক আর আমি, পুরোটাই বদনামি ,

নারী যখন হয় নারীর শত্রু, কে মেনে নিবে আমার বদলানো ॥

তোমাদের চোঁখ যায় বহুদূর, দেখে ফেলো আমার অদৃশ্য ভুল ,

আঁধারের জানালাটা খোলা, ফুরোবেনা তোমাদের এই দেখা !

ভুল ত্রুটিত সবারই থাকে, তুমি ভাবো সব আমার মাঝে ,

তবে কি ধরে নিবো তুমি অক্ষম, আমাকে শুনিয়ে ভরাও নিজের জখম ॥

তোমার মনে পোকা, দণ্ডিত আমার সুখ ,

কাফনে মোড়া আমি আর আমার প্রতিটি দিন !

হিসেব রাখো গঙ্গার জল বাড়লো কতটুকু,এদিকে আমার স্বপ্ন শুকিয়ে মরু

প্রথম প্রতুস্ম্রুতিতে ডেকেছিলে সুবর্ণলতা ,বছর ঘুরতেই শুকনোপাতা,

আমার নারীত্বে ফেলে জল , তোমার মুখ বেজায় হাস্যজ্বল,

রাত ঘুরতেই যে পতিতা, কে বানালো আমায় এমনটা ?

মনে রাখবে আঁধার রাতের অতিথি আমি না, নিজেকে ভাববে !

নিচে পরে আকাশ এর তাঁরা, আগে মানুষ হও নারী পুরুষ ছাড়া !

তোমাদের এই নগরে,আমার শূন্যতা, ভাবিয়েছে অনেক,আমি আর পারছি না

আমি ভাসি ডরে,তুমি আসছো ধীরে, দেখেও দেখনা,তবে এটাই আমার অনুপ্রেরণা,

মায়ার চারদেয়াল সরিয়ে এবার,সময় এসেছে এগিয়ে যাবার,

স্পর্শ করবো আসমান, চাইনা করুণা ,

দেখবে জাতি জিতবো আমি, জয়িতা আর হারবে না ॥

 

আরও পড়ুন...