মেয়রের দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ এবং কিছু কথা

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র

শতাব্দী আলম: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সম্প্রতি ১৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত করেছেন। দূর্ণীতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। এখন খোদ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধেই দূর্ণীতির অভিযোগ। এসব কি আওয়ামী লীগের উন্নয়নের বিরুদ্ধে কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র নাকি অন্য কিছু তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দপ্তর তদন্ত করবেন। তবে গণমাধ্যম কর্মী হিসাবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ভিন্ন কিছু পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু কণ্যা যে চারাগাছ রোপণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কণ্যা যার হাতে দিয়েছেন আধুনিক গাজীপুর সিটি করপোরেশন গড়ার দায়িত্ব। এসব অভিযোগ মূলত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র। এটা বুঝাতে বিশেষজ্ঞ লাগবে না। অভিযোগের ধরন এবং সুযোগসন্ধানী সময় বিবেচনা করলেই স্পষ্ট হওয়া যায়।

প্রিয় পাঠক সিটির পানি শাখা, বিদ্যুৎ শাখা, প্রকৌশল শাখা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা, যানবাহন শাখা দশদিকে সমানে দূর্ণীতি হচ্ছে বলেইতো ১৪ জনকে মেয়র বরখাস্ত করলেন। দিনের পর দিন অতিত বর্তমান মেয়রের চারদিকে এসব দূর্ণীতিবীদ কর্মকর্তগণ নিজেদের পকেট ভারি করেছেন। সাথে যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরিন এবং সুযোগসন্ধানী বিএনপির একটি গ্রুপের ষড়যন্ত্র । সিটি করপোরেশনের দূর্ণীতি একদিনে যেমন গড়ে উঠেনি তেমনি একদিনে বা কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারিকে বরখাস্ত করে এটা নির্মূল করা যাবে না। সঠিক তথ্য প্রমাণসহ চিহ্নিত করাও সময়ের ব্যপার। বর্তমান মেয়র দূর্ণীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে সঠিক কাজটিই করেছেন।

অভিযোগকারীদের ভাষ্য, মেয়রের বন্ধু মনিরুল ইসলামই সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করেন। শত শত ভুয়া ফাইল তৈরী করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। এটা কোনভাবেই মনিরুল ইসলামের পক্ষে সম্ভব না। কারন তিনি সিটি করপোরেশনের কোন পর্যায়েরই কর্মকর্তা বা কর্মচারি না। তাছাড়া যদি কোন শাখায় ভুয়া ফাইল তিনি দেনও সেই কর্মকর্তা কেন সাক্ষর করবেন। নির্ধারিত শাখা থেকে সাক্ষরের পরেইতো সবশেষে মেয়রের কাছে ফাইল যায়। তাহলে যখন ওইসব ভুয়া ফাইল সাক্ষর হলো তখনতো তারা এসব অভিযোগ আনেননি। অথবা মনিরুল ইসলাম অনৈতিক কিছু করে থাকলে এর দায়ভার তাকেই নিতে হবে। সেটার জন্যতো মেয়র দায়ী হতে পারেন না।

বাস্তবতা হচ্ছে দূর্ণীতির অভিযোগে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা কর্মচারীরাই নিজেদের পাপ ঢাকতে এসব অভিযোগ উত্থাপন করছেন বলে সাধারন মানুষের ধারনা। ইন্ধন যোগাচ্ছে সরকারের উন্নয়ন বিরোধী কুচক্রীমহল।
জনগণের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়র মুষ্টিমেয় কিছু ধান্দাবাজের চোখে খারাপ হয়েছেন। মহাসড়কের পাশে ফুটপাথ তুলে দেয়ায় নিজ দলের নেতা কর্মীদের বিরাগভাজন হয়েছেন। তবে সাধারন মানুষ পথচারী খুশি। মহাসড়ক থেকে অটো বা অটোরিক্সা তুলে দিয়ে তাদেরও বিরাগভাজন হয়েছেন। ফুটপাথ বা অটো থেকে কতিপয় রাজনীতিক, পুলিশ নিয়মিত চাঁদাবজি করে সবাই জানে। মেয়র বরাবরই এসবের বিপক্ষে। এখন এই সব দূর্বৃত্তরাও মেয়রের কাজের সমালোচনায় সরব।

মেয়রের ভাষ্য, এসব সমালোচনা তাকে কাজের প্রতি আরো বেশী উদ্ভুদ্ধ করে। কাজের মাধ্যমেই তিনি সমালোচনার জবাবা দিবেন। গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে মেয়রের নির্বাচনকালীন মিডিয়া কো অর্ডিনেটর হিসাবে কাজ করেছি। খুব কাছ থেকে মেয়রকে দেখেছি। তিনি প্রতিটি মুহুর্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি আদেশ নির্দেশ এবং নিষেধ মেনে চলার চেষ্টা করেন। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো, স্কুল কলেজ মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিটি বিষয়ে তার অবদান সর্বজন সমাদৃত। মানবতার জননী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে এই চারা রোপণ করেছেন। তিন নিশ্চয়ই নিজে এর পরিচর্যা করেন। তাঁর সরাসরি তত্ববধানে একদিন এই চারাগাছ বটবৃক্ষ হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে দেশ ও দশের সেবা করবে।

লেখক: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...