পিবিএ ডেস্কঃ কিছু বছর আগেও মেহেদি পাতা সংগ্রহ করে বেটে রাঙাতে হতো হাতের তালু। এখন মেহেদি লাগানো অনেকটাই ঝামেলাহীন। মেহেদির টিউব দিয়ে অনায়াসে করে নিতে পারেন মনের মতো নকশা। হাতের পাশাপাশি পা কিংবা বাজুও রাঙ্গিয়ে নিতে পারেন মেহেদির ছোঁয়ায়।হাতের মাঝখানে আঁকা বৃত্ত আর চারিদিকে গোল করে ফোটা- এই ছিলো এক সময়ের প্রচলিত নকশা। টিউব মেহেদির কল্যানে এখন সূক্ষ্ম কারুকাজ করা নকশাই সবার পছন্দের। তবে কার হাতে কেমন নকশা মানায় সেটা জানা থাকা জরুরী–
1.যাদের হাতের পাতা বড় তারা হাতে ভরাট নকশা করলে দেখতে ভালো দেখাবে।
2.ছোট হাতের একপাশে লম্বালম্বি ডিজাইন মানানসই।
3.হাতের আঙুল যদি ছোট হয় তবে অনামিকা বা মাঝের আঙুলে লম্বা করে নকশা আঁকুন।
4.যাদের হাত লম্বা তারা কিছুটা অংশ ফাঁকা রেখে ভরাট ডিজাইন করতে পারেন।
যেহেতু, উৎসবের উপলক্ষ্য সেহেতু দু হাত ভরেও করতে পারেন মেহেদির নকশা। কনুই পর্যন্ত নামিয়ে নিতে পারেন নকশাকে। আবার কব্জি থেকে নামিয়ে লাগাম টেনে ধরতে পারেন নকশা।
কাঙ্ক্ষিত রঙ পেতে করনিয়ঃ
চিনি ও পানি জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মেহেদি লাগানোর পর এই মিশ্রণ কটনবারের সাহায্যে মেহেদি নকশার ওপর দিন। শুকিয়ে এলে আবার দিন। এভাবে বেশ কয়েকবার করুন। মেহেদির রং গাঢ় হবে। মেহেদির সঠিক রং পেতে শুকানোর পর না ধুয়ে ঝেড়ে ফেলুন। কাঙ্ক্ষিত রং পেতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে পানি লাগাবেন না।
৩।যেকোনো মেহেদি ত্বকে ব্যবহারের আগে এলার্জি পরীক্ষা করে নিন। হাতে বা পায়ে অল্প একটু মেহেদি লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দেখুন চুলকানি বা জ্বলুনি হচ্ছে কি না। না হলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন।
৪।নকল মেহেদিতে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। মেহেদি কেনার সময় ভালো ব্র্যান্ড এবং মেয়াদ যাচাই করে নিন। টিউবের মুখ অবশ্যই সিল করা দেখে নিন।