মেয়ের দাম্পত্য-তৃপ্তিতেই জামাইকে যে ফল খাওয়ান শাশুড়ি

পিবিএ, ডেস্ক: যৌনজীবনে প্রভাব ফেলে জাম-জামরুল, মেয়ের দাম্পত্য-তৃপ্তিতেই জামাইষষ্ঠীতে ফল খাওয়ানো হয়। সকাল সকাল ফলের থালা শেষ করে ইলিশ-খাসি সহযোগে মধ্যাহ্ন ভোজের অপেক্ষায় বাংলার জামাইরা। কেউ কেউ আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন ডান হাতের কাজ। অনেকেই অফিসে হাফ ছুটির পর যাবেন জামাইষষ্ঠীর ভোজ খেতে। সে যে যখনই যান, জামাইয়ের পাতে আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, কলা তো পড়বেই। যাঁরা ভাবছেন লাঞ্চ বা ডিনারের গুরুপাকের আগে পেটকে বিশ্রাম দিতেই ফলাহার তাঁরা সম্পূর্ণ অবগত নন। আসলে মেয়ের দাম্পত্য জীবনকে ফলপ্রসু করতে ষষ্ঠী ঠাকরুণের আশীর্বাদ নিয়ে জামাইয়ের হাতে ফলের থালা তুলে দেন বাঙালি শাশুড়িরা। মানে?

গবেষণা বলেছে, জামাইষষ্ঠীর বাটায় থাকা প্রত্যেকটি ফলে মেলে অক্ষয় যৌবন, চনমনে যৌন জীবন। প্রথমেই আসা যাক আমের গুণাবলিতে। পুরুষের কামোন্মাদনা বাড়াতে আমের জুড়ি নেই। আমের প্রতি ফোঁটা রসে ভরপুর থাকে ভিটামিন-ই। তারুণ্য, ত্বকের চমক ও কমনীয়তা ধরে রেখে ভিটামিন-ই বয়সকে বেঁধে রাখে। এছাড়াও সেক্স হরমোনের ভারসাম্য রাখাই ভিটামিন-ই’র প্রধান কারসাজি। তাই এই ভিটামিনের অন্য নাম সেক্স হরমোন। আর এইভাবেই পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা ও তার কর্মক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে ফলের রাজা। শুধু পুরুষের যৌন জীবনই নয়, আমের রসে সতেজ হয়ে ওঠে মহিলাদের যৌন আবেদনও। আমের পরে গরমের ফলে জায়গা করে নিয়েছে কাঁঠাল।

তাই দাম যতই চড়া হোক জ্যৈষ্ঠের গরমে গাছ পাকা কাঁঠাল এদিন জামাইয়ের পাতে পড়বেই। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে পুরুষের যৌন ক্ষমতা বর্ধক ফল হিসাবে কাঁঠালের জুরি নেই। এই কাঁঠালের পুষ্টিগুণে স্পার্ম কাউন্ট বাড়ে। শুধু সংখ্যায় বাড়ে না, সেই সঙ্গে স্পার্মের সক্রিয়তাও বাড়ে। অন্যদিকে দেহে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে কাঁঠালের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। থাইরয়েড হরমোন ক্ষরণের গোলযোগে পুরুষ-নারীর নির্বিশেষে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়। যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে চনমনে যৌন জীবন ফিরিয়ে আনে কাঁঠাল।fruit
জ্যৈষ্ঠের গরমে শুধু কাঁঠাল পাকে না, স্বল্প সময়ের ফল হিসাবে বাজারে আসে কালো জাম। ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কালো জামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সকলেরই জানা। কিন্তু যেটা জানা নেই তা হল, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এনে এই ফল যৌন জীবনকে মাধূর্যে ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করে। শুধু কালো জামই নয়, একই ভূমিকা পালন করে জামরুলও। ডায়াবেটিসের ফলে মহিলা ও পুরুষের কামোন্মাদনায় ভাঁটা আসে। যৌনাঙ্গ শিথিল হয়ে যায়। মহিলাদের যোনিমুখ শুষ্ক হয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে যৌন জীবনে জোয়ার আনতে পারে জাম ও জামরুল। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন ক্ষরণে সাহায্য করে। ফলে কামাসক্তি বাড়ে। এছাড়াও ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। যা পুরুষের যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য সহায়ক। ভিটামিন-বি ও ব্রোমেলেন কামশক্তি বাড়ায়। গরমের অন্যতম ফল লিচু। চটজলদি এনার্জি জোগানোর পাশাপাশি দেহে রক্ত সংবহন স্বাভাবিক রাখে লিচু। অন্যান্য অঙ্গের মতোই যৌনাঙ্গে রক্ত সংবহন ভাল হওয়ায় মিলন হয় মধুর। সব মিলিয়ে জামাইষষ্ঠীর ফলের থালা যেন দাম্পত্যের সঞ্জীবনীসুধা।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...