শফিকুর সভাপতি-জাহিদুল সম্পাদক নির্বাচিত

মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন

আরিফ মোল্ল্যা,ঝিনাইদহ: অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ রোববার সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনে বেসরকারী ফলাফলে সভাপতি পদে শফিকুর রহমান রিংকু, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সাধারন সম্পাদক ও ইমরান হোসেন সাংগাঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার রাইনুল ইসলাম জানান, রোববার চিনিকলের অভ্যান্তরে মাধ্যমিক স্কুল ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে-সভাপতি পদে-ছাতা প্রতিকে শফিকুর রহমান রিংকু (৩৭১ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম আতিয়ার রহমান পেয়েছেন (১৩৬ ভোট)। সাধারণ সম্পাদক পদে- খেজুরগাছ প্রতিকে জাহিদুল ইমলাম জাহিদ (৩৭১ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম শাহাবুদ্দিন পেয়েছেন (১৩২ ভোট)। সাংগাঠনিক সম্পাদক পদে-ফুটবল প্রতিকে ইমরান হোসেন (৪৪২ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম মশিয়ার রহমান পেয়েছেন (১৩২ ভোট)।

এ নির্বাচনে অন্যান্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সহ-সভাপতি ২টি পদে- শাহার আলী (৩২০ ভোট) ও শাহাদ আলী (২৭৭ ভোট), সহ-সাধারন সম্পাদক ২টি পদে- কামরুজ্জামান (৩১২ ভোট) ও মিলন বিশ্বাস (২৭৮ ভোট), কোষাধাক্ষ পদে-এস এম নাজমুস শাকির (২১৮ ভোট), দপ্তর সম্পাদক পদে-সাইফুল ইসলাম (৩০২ ভোট), প্রচার সম্পাদক পদে-জাহিদুল ইসলাম (৩১১ ভোট), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে-তরিকুল ইসলাম ( ২৯০ ভোট) পেয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়া সদস্য পদের মধ্যে-আগেই রিয়াজ উদ্দিন ও ফারুক হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতসহ মোট ১০ জন নির্বাচিত হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৯১ জন। মোট ভোট পুল হয়েছে- ৫৮০টি।

দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিরন্ময় বিশ্বাস জানান, কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই দিনভর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। এবারে মোট ২৩টি পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।

তিনি জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা পর নানা জটিলতায় ৩০ ডিসেম্বর ভোট স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১ জানুয়ারি ওই স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে ঘোষিত তফসীল অনুযায়ীই ভোট গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষনে শ্রম অধিদপ্তরের কোন প্রতিনিধি না আসলেও স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ সকলের সার্বিক সহযোগীতায় একটি সুষ্ট নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে যোগ করেন তিন।

আরও পড়ুন...