পিবিএ ডেস্ক: এবার ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো তাদের বিশেষ অনুষ্ঠান মালায় প্রায় ৩ শতাধিক নাটক ও টেলিফিল্ম প্রচার করেছে। ছিল বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকের সিকুয়্যাল প্রোডাকশনও। কিন্তু কোনো নাটকই দর্শক মহলে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।
কিছু কিছু নাটকতো বিনোদন দেয়া কিংবা সাড়া ফেলার থেকে উল্টো দর্শকদের দুয়ো ধ্বনি পেয়েছে। যার একটি ছিল মোশারফ করিম অভিনীত নাটক ‘যমজ-১১’। এক সময়ের জনপ্রিয় এই নাটকটি এবার সিকুয়্যাল ১১ তম পর্বে এসে দর্শকদের চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ও নেগেটিভ রিভিউ দিচ্ছে। জমজ নাটক নিয়ে সাধারন দর্শকদের এতোটা নেতিবাচক মন্তব্য আগে পাওয়া যায়নি। এবার সাধারন দর্শকদের দেয়া অভিযোগের অন্যতম বিষয়গুলো ছিল এর গল্প, দুর্বল নির্মাণ শৈলী এবং নির্মাণে কারচুপি।
আর টিভিতে প্রচারিত ‘যমজ-১১’ এর নাটকের বিষয় ভাবনা ও পরিচালনা করেছেন আজাদ কালাম। নাটকটির চিত্রনাট্য করেছেন যৌথ ভাবে আজাদ কালাম ও মেজবাহ উদ্দিন সুমন। এবার জমজে মোশরাফ করিমের সাথে সহ শিল্পী ছিলেন অপর্ণা ঘোষ। এস এ টিভিতে প্রচার হয়েছিল জমজ নাটকের প্রথম পর্ব। প্রথম পর্বের কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন নির্মাতা অনিমেষ আইচ। কমেডি ধাচের এই নাটকটি বেশ দর্শক-প্রিয়তা পেয়েছিল। এরপরই প্রতি ঈদে নাটকির সিকুয়্যাল পর্ব প্রচার হতে থাকে। প্রথম দিকের জনপ্রিয়তাও ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল এতোদিন। তবে বিষয় বৈচিত্রের অভাবে তা ক্রমেই একঘেয়ে হয়ে উঠছিল।
এবার ঈদে প্রচারিত ১১ তম পর্বটি পুরোপুরি উল্টো রিঅ্যাকশন পায় দর্শকদের কাছ থেকে। অনেকেই বিরক্ত হয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন । ইউটিউবে রিলিজ দেয়ার পর এর নিচের মন্তব্য ঘরে নেতিবাচক মন্তব্যতেই ভরপুর ছিলো। নাটকটি নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য নেই বললেই চলে।
ইউসুফ খান নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘খুব খারাপ, সম্পূর্ণ খারাপ সম্পাদনা, আমি এই নাটকটি কখনো দেখব না। পরিচালক শুধুমাত্র টাকার জন্য এই নাটক তৈরি করেছেন।’ শাহরিয়ার নামে একজন লিখেছেন,‘ জঘন্য হইছে ১১!! এক্কার (মোশরাফ করিম) ব্যাকগ্রাউন্ড যে ফেইক তা বোঝা যায়।’ দিলরুবা আক্তার লিখেছেন, ‘যমজ সিরিজ দর্শক হারাচ্ছে। যজম ৮ পর্যন্তও ঠিক ছিল। যজম ১১ এত বাজে হয়েছে লিখে বুঝানো যাবে না।
পিবিএ/বিএইচ