মোহনগঞ্জে সড়কের বেহাল দশা

পিবিএ,মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি সড়কের অবস্থা ভীষণ খারাপ হয়ে পড়েছে। পুরো রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে তাতে বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে সাধারণের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। এসব সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে এসব রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হলেও মেরমতের ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ( ২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঘুরে এমন এমন দুরাবস্থার চিত্রই দেখা গেছে।

বেহাল এসব সড়কের মধ্যে উপজেলার পূর্বদিকে সাতুর সড়ক , অন্যদিকে থানার সামনে থেকে মার্কাজ পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা ভীষণ খারাপ। বছরের পর পর বছর ধরে এসব ভাঙ্গা সড়কে মানুষ দুভোর্গ পোহালেও সামান্য সুরকি দিয়েও সাময়িক চলাচলের ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরশহরের ভেতর দিয়ে গেলেও এ দুটি রাস্তা মূলত স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন।

স্থানীয় সমাজ কর্মী এমদাদুল ইসলাম খোকন বলেন, এলজিইডি’র কাজের গাফেলতিতে সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে। পৌরসভার ভেতরের এই কয়টি রাস্তা এলজিইডি’র কাছে দেয়া ঠিক হয়নি। এলজিইডি এই রাস্তাগুলোর সাথে বিমাতা সূলভ আচরণ করে। পৌরসভার ভেতরের রাস্তা পৌরসভার হাতেই থাকা দরকার ছিল।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র লতিফুর রহমান রতন বলেন, ভাঙ্গা যে কয়টি রাস্তা রয়েছে তার সব কটিই এলজিইডি’র। পৌরসভার কোন রাস্তা ভাঙ্গা নেই। আর এসব রাস্তা শুরু থেকেই এলজিইডি’র হাতে ছিল। তবে এসব রাস্তা পৌর শহরের ভেতরে এবং ভাঙ্গা থাকায় অনেকেই ভূল করে এগুলোকে পৌরসভার রাস্তা মনে করে, কিন্তু বাস্তবতা হলো এগুলো এলজিইডি’র।

মোহনগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসাইন জানান, এ রাস্তা দুটিই টেন্ডার হয়েছে। সাতুর রাস্তাটি গোডাউন পর্যন্ত আরসিসি আর বাকিটুকু পিচ ঢালাই হবে। অন্যদিকে মার্কাজ রাস্তাটি ৩৫০ মিটার পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই হবে। রাস্তা দুটির কাজ দ্রুতই শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাস্তা দুটিতে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান বলেন, রাস্তা দুটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারকে তাগাদা দিয়েছি।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...