পিবিএ,ঢাকা: র্যাব-২’র আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কবির বাহিনীর মূলহোতা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী (১) মোঃ কবির হোসেন ওরফে কবির ওরফে জলদস্যু কবির ওরফে দস্যু কবির (৪৬) ও তার ৭জন সহযোগী যথাক্রমে; (২) মোঃ রুবেল ওরফে পানি রুবেল (২৭), (৩) মোঃ আমির হোসেন(২১) ওরফে আব্দুল হামিদ ওরফে (আমির) (৪) মোঃ মামুন (২৫), (৫) মোঃ রিয়াজ (২০), (৬) মোঃ মেহেদী হাসান (২৫), (৭) মোঃ মামুন ওরফে পেটকাটা মামুন, (৮) মোঃ বিল্লাল (২৪)-কে ঘটনা স্থল থেকে গ্রেফতার করে। জব্দ করা হয় ১টি বিদেশী পিস্তল ও ৪ রাউন্ড তাঁজা গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন, ১ টি ছোরা, ১ টি চাকু, ১ টি ষ্টীলের গিয়ার হোল্ডিং ছুরি, ১টি লোহার পাইপ, ৪টি চাপাতি, ৪১৭ পিস ইয়াবা এবং ৭ টি মোবাইল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কবির বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। এই দলের সদস্যরা সংঘবদ্ধ অপরাধী দল। দলের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত জলদস্যু কবির@ দস্যু কবির@ গাংচিল কবির। এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২০/২২ জন। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হত্যা সন্ত্রাসী,মাদক কেনাবেচা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১৯৯০ সালে কবির তার পরিবারসহ বরগুনা হতে ঢাকায় আসে। ঢাকায় এসে প্রথমে তার পিতার সহযোগী হিসেবে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সে গাড়ী চালনা, হাউজিং চাকুরীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে ২০১০ সালে গাংচিল সন্ত্রাসী বাহিনীতে যোগ দেয়। এই বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে তার অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়। সে উক্ত বাহিনী এর সাথে তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে মালবাহী নৌকা ও ট্রলারে চাঁদাবাজি শুরু করে। এক সময় তার কুখ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে অপরাধ জগতে সে ‘জলদস্যু’ খেতাব পায়। পরবর্তীতে র্যাবের অভিযানে গাংচিল বাহিনীর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। ২০১৬ সাল হতে কবির বাহিনী নামে দুর্ধর্ষ এক বাহিনী গড়ে তোলে। গ্রেফতারকৃত কবির বখে যাওয়া ছেলেদের সে তার বাহিনীতে যোগদান করাত। মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, বসিলা, চাঁদ উদ্যান ও এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে সম্পৃক্ত কবির বাহিনী। এছাড়াও জবর দখল, ভাড়ায় শক্তি প্রদর্শন এবং আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্মে তাদের ব্যবহার করে কবির। সে ২০১৮ সালে প্রথম গ্রেফতার হয় হত্যা, গণধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি, মারপিটসহ সর্বমোট ২৪টি মামলার আসামী।
গ্রেফতারকৃত অপর সদস্যরা ক্ষুদ্র ব্যবসা গাড়ী চালনা, দিন মজুরসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে তারা বর্ণিত অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। গ্রেফতারকৃত (১) রুবেল ওরফে পানি রুবেল এর নামে ৭টি, (২) মামুন ওরফে ড্যান্ডি মামুন এর নামে ৫টি, (৩) মামুন ওরফে পেটকাটা মামুন এর নামে ৪টি, (৪) আমির হোসেন ওরফে টানা আমীর এর নামে ৩টিসহ অবশিষ্ট সদস্যদের নামে একাধিক মামলা রায়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।
পিবিএ/জেডএইচ