মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪৫

গত আগস্টে রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর হঠাৎ করে অপরাধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আড়াই মাসে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় খুন হয়েছেন অন্তত সাত জন।

এর মধ্যে গুলিতে, ছুরিকাঘাতে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আছে। গুলিতে আহত হয়েছেন অনেকেই। দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি গাড়ি থামিয়ে কোম্পানির টাকা লুটের ঘটনাসহ হচ্ছে ‘গ্যাং ফাইট’। এমনকি নির্মাণাধীন ভবনে ঢুকে ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী।

এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।

এদিন মধ্যরাতে র‍্যাব-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সরাসরি ছিনতাই জড়িত রয়েছেন এমন আসামি আছেন ৩ জন, দোকান ডাকাতিতে ২ জন ছাড়া বাকি ৪০ জনকে

সন্দেহ ছিনতাইকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহজনক আসামিদের মধ্যে নবীনগর ইউনিট আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানও রয়েছেন।

এদিকে মোহাম্মদপুরে চলমান অবস্থায় মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

শনিবার বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই আলটিমেটাম দেন তারা। পরে লিখিত দাবি নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জের কক্ষে প্রবেশ করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় দ্রুত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেন পুলিশ। সেইসাথে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চান তারা।

আরও পড়ুন...