পিবিএ ডেস্ক: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি এমবিবিএস পাস করেন। পরে ঢাকায় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এফসিপিএস কোর্স সমাপ্ত করেন। তাই বাংলাদেশে বিশেষ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ নিয়ে রয়েছে তার অনেক স্মৃতি। তাই বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং নিজের ছাতজীবনের স্মৃতিবিজড়িত স্থান পরিদর্শন, শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৪ ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. টান্ডি দর্জিসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এ সফরে থাকবেন। এ উপলক্ষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। তার আগমনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে এখন সাজ সাজ রব। উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী ও সহপাঠীরাও। দিনরাত চলছে সংস্কার ও সাজসজ্জার কাজ। এ উপলক্ষে নিরাপত্তাসহ সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে এসে বিদেশি কোটায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন। ১৯৯৯ সালে এমবিবিএস পাস করে ঢাকায় সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে এফসিপিএস কোর্স সম্পন্ন করেন।
ডা. লোটে শেরিংয়ের সহপাঠী ডা. শফিকুল বারী তুহিন জানান, লোটে শেরিং ১৯৯১ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তির পর বাঘমারা মেডিকেল হোস্টেলে থাকতেন। তিনি খুবই মেধাবী ও ভদ্র। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি খুবই বন্ধুভৎসল ছিলেন। কথা বলতেন খুব কম। টেবিল টেনিস ও ক্যারাম খেলা পছন্দ করতেন। পহেলা বৈশাখে লোটে শেরিং ময়মনসিংহেই থাকতেন এবং তাকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে যেতেন।
পিবিএ/এএইচ