পিবিএ,যবিপ্রবি: নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে গতকাল বুধবার যশোর, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর এই সাত জেলা থেকে মোট ২৩৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে গতকাল ৮৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১২ টি নমুনার ফলাফল করোনা পজিটিভ এসেছে। আর মেহেরপুরের রোগী মৃত্যুবরন করেছে।
এর মধ্যে যশোরের ৪৭টি, চুয়াডাঙ্গার ৪১টি কুষ্টিয়ার ৩২টি, নড়াইলের ২৪টি, মাগুরার ২৩টি, মেহেরপুরের ৩৮টি, ঝিনাইদহের ২৯টিসহ মোট ২৩৪টি নমুনা জেলার সিভিল সার্জন থেকে সরবরাহ করা হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন জানান, “বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের থেকে যাদের শুধুমাত্র গুরুতর করোনা রোগী সন্দেহ করা হয়েছে তাদেরই পরীক্ষা করা হয়েছে গতকাল। কারন সব নমুনা পরীক্ষা করার মত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই, তবে খুব দ্রুত সরঞ্জাম আসবে বলে আশা করছি। প্রাপ্ত ২৩৪টি নমুনার মধ্যে যশোরের ২৪ জনের ২ জন, চুয়াডাঙ্গার ৩৯ জনের ৬ জন, কুষ্টিয়ার ১২ জনের ২ জন, মাগুরার ৭ জনের ১ জন, মেহেরপুরের ৪ জনের ১ জনসহ মোট ১২ জনের নমুনা পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে মেহেরপুরের রোগী মৃত্যুবরন করেছে। তাছাড়া নড়াইলের কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয় নি।
উপাচার্য আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে কীটসহ পরীক্ষার জন্য আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঠিকভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হচ্ছে, কিন্তু সবকিছু যদি প্রয়োজনমত ও সঠিক সময়ে সরবরাহ করা না হয় তাহলে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে, কারন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে এত বেশী অর্থ নেই, সুতরাং সরকার থেকে করোনা পরীক্ষার প্রয়োজনীয় জিনিস সময়মত ও প্রয়োজনমত সরবরাহ করা জরুরী।
পিবিএ/মোসাব্বির হোসাইন/এমএসএম