পিবিএ,যশোর: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যশোর শিক্ষাবোর্ডের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) রাসায়নিকের মেয়াদ সাড়ে ৫ বছর আগে উত্তীর্ণ হলেও এ বিষয়ে উদাসীন রয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অগ্নিনির্বাপণে ফায়ার অ্যালার্মসহ আর যেসব অবকাঠামো দরকার সেগুলোও কোন ব্যবস্থা নেই এখানে। ফলে অগ্নিকা-ের ঘটনায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। দ্রুত সংস্কার এবং আধুনিক অগ্নিব্যবস্থা না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
সূত্রে মতে, বোর্ডটি ১৯৬৫ সালে যশোর জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে রয়েছে ৩৩ জন স্টাফ। প্রতিদিন হাজারো লোকের আসা যাওয়া রয়েছে এ বোর্ডে। এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সংস্থাপন, পরীক্ষা, মহাবিদ্যালয়, বিদ্যালয়, হিসাব ও পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন সর্বমোট ৬ টি কার্যপ্রনালি বিভাগের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়েছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নি দুর্ঘটনায় একটি মাত্র ভরসা মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নি নির্বাপক রাসায়নিক পদার্থ! এছাড়া ৫০ বছরের পুরনো ভবনের পুরনো ওয়্যারিং ব্যবস্থায় চলছে বৈদ্যুতিক ব্যবহার। ওভার লোড অথবা শর্টসার্কিটে যে কোন সময় আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বোর্ডের বিভিন্ন তলায় উঠার সিঁড়ির সামনে বা প্রবেশদ্বারে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। কিন্তু এতে লেখা রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ন। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১২ সালে। এখন ২০১৯ সাল। ৫ বছর ধরে এই অগ্নি নির্বাপনের যন্ত্রটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় তলায় রয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বোর্ড শাখা। সেখানেও নেই ভাল কোন অগ্নি ব্যবস্থা। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সরবরাহ না দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অগ্নি নির্বাপণের রাসায়নিক সরবরাহকারী মারুফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মারুফ হোসেন জানান, ২০১১ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ডে মাত্র ১৪ টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিলো। কিন্তু ২০১২ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোঃ ওয়াদুদ হোসেন জানান, একটি বহুতল ভবনে তাদের প্রাথমিক আগুন নেভানোর জন্য নিজস্ব পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সরবরাহ থাকতে হবে। কিন্তু যশোর শিক্ষাবোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মেয়াদোত্তীর্ণ অর্গ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকাটা খুবই দুঃখজনক। বর্তমানে শিক্ষাবোর্ড মারাত্মক অগ্নি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল আলীম জানান, যশোর শিক্ষাবোর্ডের নানামুখী উন্নয়ন করা হচ্ছে। বোর্ডের কিছু সমস্যা রয়েছে। সামনে সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করা হবে। আশা করি খুবই অল্প সময়ের মধ্য মেয়াদোত্তীণূ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সরানো হবে এবং নতুন করে সরবরাহ করে স্থাপন করা হবে।
পিবিএ/জেএইচ/হক