যাদের মোবাইলে ধারণ করা হয় রিফাত হত্যাকাণ্ডের ভিডিও

পিবিএ ডেস্ক: বরগুনায় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে মানুষের সামনে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিচ্ছে দুই যুবক। আর রক্তাক্ত যুবককে বাঁচাতে চিৎকার করে এদিক-ওদিক ছুটছেন এক নারী।

নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী নামের দুই সন্ত্রাসীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে প্রাণ দিয়েছেন রিফাত শরীফ।

এ হত্যাকাণ্ডে আদালতসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ হত্যাকাণ্ডের আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।

গত বুধবার বিকাল থেকেই রিফাত হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের টাইমলাইনে এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে ভিডিওটি।

বুধবার রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে দাবি জানাচ্ছেন দেশবাসী।

চিৎকার করে সাহায্য চাওয়ার পরও কেউ এগিয়ে না এসে কেন ভিডিও করছিলেন সে বিষয়ে অনেকেই ভর্ৎসনা করেছেন।

তবে এ কথাগুলো অস্বীকারের উপায় নেই যে, ওই ভিডিওর কল্যাণেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে দেশব্যাপী সাড়া পড়েছে। খুনি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীকে শনাক্ত করা গেছে।

জানা গেছে, যে ভিডিওটি দেশের সব গণমাধ্যমসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হচ্ছে, সেটি করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের কলা ভবনের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার কলেজ সড়কের ক্যালিক্স কিন্ডারগার্টেনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজের কলা ভবন থেকে ঘটনাটির প্রত্যক্ষ করেন শিক্ষার্থীরা। পুরো ঘটনা নিজেদের মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন তারা।

https://youtu.be/4tjVBpUASmA

প্রসঙ্গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান স্বামী রিফাত শরীফ। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাতকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। স্ত্রী আয়েশা তাদের থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

রিফাতকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান তারা। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাতকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাতের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন...