গ্রুপপর্বে টানা চার জয়ের পর সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় পুঁজি গড়েও হেরে যায় রভম্যান পাওয়েলের দল। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না ক্যারিবীয়দের সামনে। এমন সমীকরণে যুক্তরাষ্ট্রকে রীতিমতো উড়িয়ে দিলো শাই হোপ-পুরানরা।
বার্বাডোজের কেনিংটন ওভালে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ সময় ভোরে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্র। হাতের নাগালে থাকা টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫৫ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাঁজরের চোটে ব্র্যান্ডন কিং ছিটকে না গেলে এই ম্যাচে হয়তো খেলাই হতো না শাই হোপের। সেই হোপ সুযোগ কাজে লাগালেন দারুণভাবে। ওপেন করতে নেমে একাই মারলেন ৮টি ছক্কা। মাত্র ৩৯ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকলেন হোপ। নিকোলাস পুরান মাত্র ১২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছক্কা–বর্ষণে উড়ে গেল আমেরিকা। মাত্র ১০.৫ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা। এতেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দাপট ছিল তাদের। এই জয়ের ফলে শেষ চারে ওঠার দৌড়ে টিকে রইলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুটো ম্যাচ হেরে আমেরিকার বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়েই গেল। যদিও কাগজেকলমে এখনো সুযোগ আছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকদের। তবে যদি কিন্তুর অনেক সমীকরণ মেলাতে হবে তাদের।
এবারের আসরের গ্রুপপর্বে চমক দেখিয়ে সুপার এইটে উঠেছিল আমেরিকা। পাকিস্তানের মতো হেভিওয়েট দলকে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছিল তারা। গ্রুপ এ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে পৌঁছায় তারা। তবে সুপার এইটে দুটি ম্যাচেই হেরে গেছে তারা।
টস জিতে ক্যারিবিয়ানরা প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমেরিকার ব্যাটাররা শুরু থেকেই ক্যারিবীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়েন। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ রান করেন আন্দ্রিয়াস গাউস (২৯)। নীতীশ কুমার ২০ রান করেন। বাকিরা সেভাবে রানই পাননি। ক্যারিবিয়ান বোলারদের মধ্যে আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেজ ৩টি করে উইকেট নেন।
আমেরিকার রান তাড়া করতে নেমে শাই হোপ শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। আমেরিকার বোলারদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন হোপ। আক্রমণাত্মক হোপের দাপটেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় আমেরিকা। আরেক ওপেনার চার্লস ফিরে গেলেও থামেননি হোপ। শেষমেশ হোপ ও পুরান (২৭*) অপরাজিত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ জেতান। এই জয়ের ফলে এখনও টিকে রয়েছে বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের আশা।