পিবিএ ডেস্ক: দরিদ্র, বিশেষ করে এক বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি অর্থে পাওয়া সুবিধার ওপর নির্ভরশীল, এমন অভিবাসীদেরকে নাগরিকত্ব বা স্থায়ীভাবে বসবাস করার স্বীকৃতি (গ্রিনকার্ড) না দেয়ার পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন একটি নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। ‘পাবলিক চার্জ রুল’ নামের এই নীতিমালা সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশ করা হয়, যা ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
নতুন এই নীতি অনুসারে, তুলনামূলক দরিদ্র যে অভিবাসীরা এক বছরের বেশি সময় ধরে খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ বিভিন্ন সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে তাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন আগের চেয়ে অনেক বেশি কঠোরতার সঙ্গে যাচাই করা হবে।
পাশাপাশি তারা গ্রিনকার্ডের আবেদন করলে সেখানেও কঠোর হবে যুক্তরাষ্ট্র। যদি সরকারের মনে হয় আবেদনকারী ভবিষ্যতেও সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভর করে থাকতে পারে তবে তার আবেদন নাকচ করে দেয়া হবে।
এমনকি কোনো আবেদনকারীর আবেদনপত্র ও অন্যান্য বিষয় যাচাইবাছাই করে যদি মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রে এসে তার সরকারি সুবিধাদি নিয়ে বাঁচতে হবে, তাহলে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতেই দেয়া হবে না।
সরকারের দাবি, নতুন নীতিমালাটি করা হয়েছে অভিবাসীদের মধ্যে ‘স্বনির্ভরতার মনোভাব’ জোরদার করার জন্য।
কিন্তু এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে কম মজুরিতে কাজ করা ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের লাখ লাখ হিস্পানিক মানুষের নাগরিকত্ব পাওয়ার স্বপ্ন হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে। কেননা এরা জীবনধারণের জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভর করে।
এছাড়াও দারিদ্র্যপীড়িত স্বল্প দক্ষতার শ্রমিক অভিবাসীদের জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে, যারা আশায় ছিলেন দীর্ঘদিন পরিশ্রম শেষে শেষ পর্যন্ত দেশটিতে বৈধভাবে নিজের একটি জায়গা করে নেবেন।
অবশ্য যারা ইতোমধ্যে গ্রিনকার্ড পেয়ে গেছেন তাদের জন্য এই নীতিমালা প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী আবেদনকারীরা এর আওতামুক্ত।
পিবিএ/এমএসএম