পিবিএ,সুনামগঞ্জ: পাঠক প্রিয় ও দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন সাইফুল আলম। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম এতদিন দৈনিকটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) যুগান্তরের ২১তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর আয়োজনে যমুনা গ্রুপ ও পত্রিকাটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল সাইফুল আলমকে সম্পাদক ঘোষণা করেন। এ সময় যুগান্তরের প্রকাশক সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
জননন্দিত মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বরেণ্য সাংবাদিক সাইফুল আলমকে যুগান্তরের সম্পাদক ঘোষণা করায় শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এটিএনবাংলা ও সমকাল প্রতিনিধি পঙ্কজ দে, সাধারন সম্পাদক ( চ্যানেল আই, মানবজমিন প্রতিনিধি একেএম মহিম, সহ সভাপতি আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার আবেদ মাহমুদ চৌধুরী, সহ সভাপতি কালের কণ্ঠ ও একাত্তর টিভির প্রতিনিধি শামস শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যমুনা টিভি ও বিডিনিউজ প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান তারেক, যুগ্ম সম্পাদক আমাদের সময়ের বিন্দু তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ চ্যানেল-২৪ এর আর জুয়েল, ,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ও দ্য বাংলাদেশ টুডে প্রতিনিধি হাবিব সরোয়ার আজাদ,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ভোরের কাগজ ও ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির জাকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক চ্যানেল এস’র আকরাম উদ্দিন সাহিত্য সম্পাদক এনটিভির দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক বাংলানিউজের আশিকুর রহমান পীর, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ডিবিসি নিউজের আমিনুল ইসলাম, কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দ তাহের আলম মনসুর, দেওয়ান ইমদাদ রেজা, ইশতিয়াক শামীম, লতিফুর রহমান রাজু, খলিল রহমান, এমরানুল হক চৌধুরী, শাহজাহান চৌধুরী, এনাম আহমেদ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম বাবুল, দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলমকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় সাপ্তাহিক ‘কিশোর বাংলা’য় খন্ডকালীন এবং ১৯৭৯ সালের শেষদিকে পূর্ণকালীন সহ-সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন সাইফুল আলম। এরপর নিরবচ্ছিন্নভাবে এই পেশায়ই সাফল্যের সঙ্গে পথ চলছেন। দৈনিক যুগান্তরের পথচলার শুরু থেকেই পত্রিকাটির সঙ্গে আছেন সাইফুল আলম। ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি দৈনিক যুগান্তরে চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর পত্রিকাটির উপসম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পান। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সপ্তাহিক চিত্রালী, মশাল, আগামী, স্দ্বীপসহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেছেন।
সাইফুল আলম সাংবাদিকদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদেরও সদস্য। সাইফুল আলম জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন সংস্থা ২০১৭ ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হক সম্মাননা ২০১৮ পেয়েছেন। সাইফুল আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৭৭ সালে স্নাতক ও ১৯৭৮ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু সাইফুল আলমের। এরপর মতিঝিল কেন্দ্রীয় সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। সাইফুল আলমের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর, ঢাকার ফরাশগঞ্জে। বাবা মোহাম্মদ আলী আরশাদ মিয়া এবং মা বেগম শামসুন নাহার। স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম, পেশায় ব্যাংকার।
পিবিএ/হাবিব সরোয়ার আজাদ/বিএইচ