যেভাবে বিশ্বকাপে এলেন মোহাম্মদ মিঠুন

পিবিএ,কুষ্টিয়া: চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট মোহাম্মদ মিঠুন। তার বড় ভাই ইকতিয়ার মিলন এক সময়ের দাপুটে খেলোয়াড় ছিলেন। কখনো ক্রিকেট কিংবা কখনো ফুটবল খেলে দর্শকদের মন জয় করতেন। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে ছিল তার সুনাম। মাঠ কাঁপিয়েছেন কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় মিঠুন ক্রিকেটের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

যেভাবে বিশ্বকাপে এলেন মোহাম্মদ মিঠুন

বাড়ীর পাশের ঈদগাহের খেলার মাঠ থেকে খেলতে খেলতেই নিজেকে মেলে ধরেছে বিশ্ববাসীর সামনে। এবারের বিশ্বকাপে কুষ্টিয়ার ছেলে মিঠুন প্রথম খেলবেন। তাই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করছে বলে জানান তারা। রবিবার বিকেলে শহরের থানাপাড়া মোহাম্মদ মিঠুনের বাড়ীতে গিয়ে কথা হয় তার পরিবারের সঙ্গে।

তার বাবা ইট ও কাঠ ব্যবসায়ী মো. শওকত আলী তিনি পিবিএকে বলেন, “মিঠুন এবার প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলতে গেছে। এটা আমাদের জন্য কতটা গর্বের বিষয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি মিঠুনের ঝোক ছিলো।

বাড়ীর পাশেই থানাপাড়া ঈদগাহ মাঠে প্র্যাকটিস করতো প্রতিনিয়ত। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো সেই ছোটবেলা থেকেই। তাই আমি আর বাধা দেইনি। কারণ পড়ালেখাতেও সে ভালো ছিল। মিঠুনের বড় ভাই মিলন পিবিএকে বলেন, তার খেলা দেখে বুঝতে পারতাম সে একসময় বড় খেলোয়াড় হতে পারবে।

তবে, কুষ্টিয়ায় পড়ে থাকলে চলবে না। তাই বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ হতেই সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। জাতীয় দলের খেলোয়াড় মিঠুনের মা জাহানারা বেগম দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আমার ছেলে যেন ভালো খেলা উপহার দিতে পারে বাংলাদেশকে জেতাতে পারে।

পিবিএ/কেএসএস/আরআই

আরও পড়ুন...