যেসব উপায়ে সন্তানের ওজন ঠিক রাখবেন!

পিবিএ ডেস্ক: আজকের যুগে অতিরিক্ত ওজন এক বড় সমস্যা৷ ক্ষুধা ও পেট ভরার অনুভূতি অনেকেই ভুলতে চলেছে৷ ফলে মাত্রাজ্ঞান ও আত্মনিয়ন্ত্রণ বোধের অভাব দেখা যাচ্ছে৷ জার্মানিতে এক হাসপাতাল বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করছে৷ মাত্রাতিরিক্ত ওজনের সমস্যা আজ সমাজে বিশাল আকার নিয়েছে৷
প্রত্যেক বাবা মায়ের একটি প্রধান সমস্যা থাকে আর তা হলো অতিরিক্ত আদর করে খাওয়ানো। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটবেলা থেকেই শিশুকে নির্দিষ্ট নিয়মে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। মা-বাবাকেও মানতে হবে কিছু নিয়ম। রান্না করতে ইচ্ছে করছে না বলে শিশুকে দোকানের খাবার, যখন তখন বায়না করলেই চকোলেট দেয়া, ঘুম থেকে তুলে পড়তে বসানো এসব অভ্যাস বদলাতেই হবে।তা না হলে পরবর্তীতে শিশুর বাড়তি ওজনের সমস্যায় পড়তে হবে। আজকের লেখা সাজানো হয়েছে মুলত সন্তানের ওজন ঠিক রাখতে যেসব উপায় অবলম্বন করতে হবে তা নিয়েই।

চলুন তাহলে দেরি নাকরে জেনে নেওয়া যাক সন্তানের ওজন ঠিক রাখতে যেসব উপায় অবলম্বন করবেনঃ

১। শিশু বয়সেই বুদ্ধি ও দেহের বিকাশ ঘটে। এই বয়সে শরীর গঠনে বড় ভূমিকা রাখে ঘুম। তাই পরীক্ষা-পড়াশোনার চাপ যতই থাকুক না কেন ঘুমের সময় কমানো যাবে না। কমপক্ষে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমের সময় রাখতে হবে।

২। পুষ্টিবিদের কাছে যান শিশুকে নিয়ে। ওর নির্দিষ্ট বয়সে খাদ্যের তালিকা ঠিক কেমন হবে তা মেনে চলুন। এই তালিকায় শিশুদের পছন্দের খাবারও থাকে। কেবল দরকার কতটা খাবে আর কখন খাবে তা নিয়ে পরিমিতিবোধ।সেই সাথে যখন তখন বাড়িতেই নুডলস বা ফ্রোজেন ফুড এনে বানিয়ে দেওয়ার অভ্যাস পরিহার করুন। দোকানের সুপ ও ঠান্ডা পানীয়ও এড়িয়ে চলুন। এসবে থাকা অতিরিক্ত চিনি ও প্রিজারভেটিভসে থাকা সোডিয়াম ফ্যাট বাড়ায় দ্রুত। বরং বাড়িতে বানানো খাবারে সন্তানকে অভ্যস্ত করুন। নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে মিষ্টি জাতীয় খাবার।

৩। শিশুদের প্রিয় খাবার চকোলেট। এই চকোলেট দাঁতের ক্ষতির সঙ্গে ওজনও বাড়ায় হু হু করে। তাই কথায় কথায় চকোলেট না দিয়ে মাঝে মধ্যে দিবেন। তা যদি ডার্ক চকোলেট হয়, তাহলে খুবই ভাল।এবং গরমে ঠাণ্ডা পানি শিশুরা পছন্দ করে। ঠান্ডা পানি ওজন বাড়ার জন্য দায়ী। এই অভ্যাসকে একেবারেই প্রশ্রয় দিবেন না। এর জন্য পরিবারের অন্য সদস্যরাও ঠাণ্ডা পানি পরিহার করুন বা শিশুর আড়ালে পান করুন।

৪। পানির তৃষ্ণায় বেশি পানি খেলে অনেক সময় শরীর পানি জমিয়ে রাখে। এতেও শরীর ফোলে। তাই শিশুকে নিয়ম করে পানি খাওয়ার অভ্যাস করান।সেই সাথে যে শিশুর ওজন বাড়তির দিকে তাকে ছোট থেকেই ভাত কম দিন। ভাতের জায়গায় দু’-একটি রুটিও দিতে পারেন। কম ভাতের সঙ্গে সবজি, মাংস, মাছ, পনির, দুধ, টক দই এসব বেশি বেশি দিতে পারেন।

৫। সন্তানের মানসিক চাপ বাড়তে পারে এমন কোন পদক্ষেপ নিবেন না। সবার মস্তিষ্ক ও বুদ্ধি সমান হয় না। শুধু পড়াশোনা দিয়েই যে বড় হতে হবে এমনও নয়। বরং ওর আগ্রহের ব্যাপারে জোর দিন। ওকে ওর মতো বড় হতে দিন। একটা বয়সে সবই ঠিকই হয়ে যাবে। অকারণে ভীতি বা চাপের মধ্যে ফেলবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

এছাড়াও শুধু পড়াশোনা আর অন্যান্য গুণে দক্ষ করে তুলতে গিয়ে খেলাধুলার সময়টা কেঁড়ে নেবেন না। খেলাধুলা শরীর ও মন দুটোই ভাল রাখে। সাঁতারেও ভর্তি করে দিতে পারেন। বাসায় ছুটাছুটি করতে দিন। বড়রা শরীর ঠিক রাখার জন্য বাসায় যেভাবে হালকা ব্যায়াম করেন তখন আপনার সন্তানকেও নিতে পারেন সঙ্গে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...