যে উপসর্গগুলো হলে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক…

পিবিএ ডেস্কঃ শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হার্ট। এটির স্পন্দন বন্ধ হয়ে গেল মানে সব শেষ। এটি দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় রক্তের মাধ্যমে। ফলে হৃদপিণ্ড কোনওভাবে বিগড়ে গেলে সুস্থ থাকা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। কোন অভ্যাস আপনার হার্টকে অসুখের দিকে ঠেলে দিচ্ছে হার্টকে সুস্থ রাখতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি থাকে না। একটু কোনও অসুবিধা ধরা পড়ল কি পড়ল না, আমরা আমাদের খাবারের ব্যাপারে সচেতন হয়ে যাই। শরীরচর্চায় মন দিই। তবে সবসময় তা করেই হার্ট সুস্থ রাখা যায় না। এখনকার দিনে দূষিত পরিবেশে শুধু বয়স্করাই নন, কমবয়সীদের মধ্যেও হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নার্ভাসনেস কাটান এই কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায়। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে গেলে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে হবে। আর একইসঙ্গে জানতে হবে, কি কি কারণে আপনার হৃদপিণ্ডের ক্ষতি হচ্ছে। সেগুলি জানতে পারলে তবেই একমাত্র আপনি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন জীবনের প্রতিটি ছোট-বড় মুহূর্ত। জানুন হার্ট অ্যাটাকের মুহূর্তে একলা থাকলে কি করবেন। তবে হার্টের সমস্যায় ছোট-বড় কোনও লক্ষণকেই অবহেলা করা উচিত নয়। হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য নানা কারণে বিগড়াতে পারে। কোন কোন লক্ষণ লক্ষ্য করলে অবশ্যই সচেতন হবেন তা জেনে নিন নিচের স্লাইড থেকে। কী কী কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে তা জেনে নিন।

বুকে চাপ চাপ ভাবঃ হৃদরোগের প্রাথমিক ধাপের একটি হল বুকের ভিতরে অস্বস্তি বা চাপ অনুভব করা বা বুকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। ধমনীতে কোনওভাবে রক্ত চলাচল আটকে গেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এর সঙ্কেত বহন করে এটি।

দম কম পড়াঃ যদি আপনার শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করেন, যদি দেখেন হালকা কাজ করেও আপনি হাফিয়ে উঠছেন তাহলে বুঝবেন আপনার হার্ট ভালো নেই।

বমি ভাব যদিঃ বেশির ভাগ সময়ই আপনার গা গোলানো অথবা বমি বমি ভাব অনুভূত হয় কিন্তু বমি হয় না তাহলে সাবধান। আপনার হার্ট ভালো নেই, এটা তার লক্ষণ।

অনিয়মিত হৃদস্পন্দনঃ যদি লক্ষ্য করেন হৃদস্পন্দনের গতির হেরফের হচ্ছে, সামান্য কাজ করতে গিয়েও হাঁফিয়ে উঠছেন, তাহলে সাবধান। সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে একবার পরীক্ষা করে নিন।

অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়াঃ যদি পাখার তলায় বসে থাকা সত্ত্বেও ঘামে ভিজে যান তাহলে বুঝবেন হৃৎযন্ত্রে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে নুন ও পানি বেরিয়ে যেতে থাকে, ফলে ক্লান্তি ও শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়।

মাথা ঘোরানোঃ অনেক সময়ে না খেলে, ঠিকমতো বিশ্রাম না নিলে মাথা ঘোরাতে পারে। তবে যদি এই সমস্যা বেশ কিছুদিন স্থায়ী হয়, এবং এর সঙ্গে শ্বাস নিয়ে সমস্যা ও বুকে অস্বস্তি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অত্যধিক নাক ডাকাঃ অনেকেই ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। তবে যদি দেখেন আপনার আপনজন কেউ ঘুমের মধ্যে নিয়মিত অত্যধিক পরিমাণে নাক ডাকছেন, তাহলে সতর্ক হোন। এই অবস্থা হৃদয়ে অত্যধিক চাপ ফেলে ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

পেটের সমস্যাঃ হার্টের একাধিক সমস্যা থাকলে পেটের সমস্যা দেখা যায়। হাজারো টোটকা, বা ওযুধেও যদি সমস্যা না কমে তাহলে বুঝবেন হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিক রক্ত চলাচলে বাধা দিচ্ছে, আর তাই হজমের সমস্যা হচ্ছে।

ক্লান্তি ভাবঃ ভালমতো ঘুম হওয়া সত্ত্বেও কোনও কারণ ছাড়াই আপনার যদি সারাক্ষণ ঘুম ঘুম পায় তাহলে বুঝবেন হৃদযন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে। ডাক্তারের ক্লিনিক যাওয়ার আপনার সময় এসে গিয়েছে।

গলা ও চোয়াল ব্যথাঃ গলা বা চোয়াল ব্যথার অন্য কারণ হতেই পারে। তবে বুক থেকে ব্যথা গিয়ে চোয়াল বা গলায় আটকালে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বাম হাতে ব্যথাঃ অনেক সময়ে বুক থেকে ব্যথা বাম হাতে চলে যায়। হার্টের সমস্যায় এটিও ইঙ্গিতবাহী। তাই কখনও কোনও কারণ ছাড়াই বাম হাতে ব্যথা হলে অবহেলা করবেন না।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...