পিবিএ ডেস্ক: বিভিন্ন কারণে শরীরে চুলকানি বা বডি ইচিংয়ের সমস্যা হতে পারে। সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে রোগ জটিল আকার ধারণ করতে পারে। যাদের ত্বক খুব শুষ্ক, শীতকালে যখন ময়েশ্চার কমে যায়, তখন চুলকানি সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, হরমোন ও থাইরয়েডজনিত সমস্যা থাকলে গা চুলকাতে পারে। একই সঙ্গে সিস্টেমিক রোগ যেমন অবসট্রাকটিভ জন্ডিস, লিভার সমস্যা থেকে ইচিং হতে পারে। কিডনিতে যাদের সমস্যা আছে, তাদেরও চুলকানি হতে পারে। এমনকি ম্যালিগন্যান্সি, রক্তের ক্যান্সার সেখান থেকে সারা গায়ে ইচিং হতে পারে।
আবার কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে গরম পানিতে গোসল করে চুলকাচ্ছে। কারও কারও দেখা যায় ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করে চুলকাচ্ছে। এটা বিভিন্ন রোগের কারণে হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ত্বকের সমস্যাতেই চুলকানি হয়। শীতকালে স্ক্যাবিস বেশি হয়। একজনের কাছ থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে যায়। পুরো পরিবারকে চুলকাচ্ছে। একধরনের পরজীবী দিয়ে এটা হয়। রাতে যখন বেশি চুলকানি হয়, আমরা ভাবি স্ক্যাবিজ হতে পারে। আমরা এসব লক্ষণ খুঁজি। দেখি আঙুলের ফাঁকে কোনো দানা দানা আছে কি-না। জেনিটাল রিজিয়নে, নারীদের স্তনের নিচে, খাঁজগুলোতে কোনো দানা দানা আছে কি-না। পারিবারিক ইতিহাস ছাড়াও চুলকানির ধরন দেখে আমরা পুরো বিষয়টিকে নির্ণয় করে ফেলি।
সোরিয়াসিস একটি রোগ। এতেও চুলকানি হয়। আমাদের চামড়ায় সিলভার স্কেল উঠতে পারে। তবে এর ভাগ রয়েছে। এক ধরনের সোরিয়াসিস হয় ছোট ছোট, দানা দানা। সোরিয়াসিস যদি ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে সমস্যা হয়। সোরিয়াসিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়; কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে খুব হিসাব করে। তখন সারা গায়ের চামড়া ঝরে পড়ে যাবে। সেখানে অনেক চুলকানি হতে পারে। তাই ইচিংকে উপেক্ষা করা যাবে না। অনেকে মনে করেন চুলকাচ্ছে, হয়তো ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু চুলকানির বিষয়ে সতর্ক থাকাই উচিত হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন, ভালো থাকুন।
পিবিএ/বিএইচ