যে কারণে শাহরুখ খান সিনেমা করছেন না

পিবিএ ডেস্ক: কোনো অভিনয়শিল্পীর যদি পরপর তিনটা ছবি ‘ফ্লপ’ করে, তাহলে সেখান থেকে ফিরে আসা কঠিন। অনেকে আবার সেই অবস্থাকে জয় করে ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়ায়, ফিরে আসে ‘সুপারহিট’ ছবি দিয়ে। সেই ২০১৪ সাল থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খানের। ওই বছর ২৪ অক্টোবরে মুক্তি পাওয়া ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বক্স অফিস, ভক্ত বা সমালোচক, কাউকেই খুশি করতে পারেনি। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ‘জিরো’ সিনেমাও পেয়েছে বড় রসগোল্লা।

গত পাঁচ বছরে রইস বা ‘যব হ্যারি মেট সেজাল ছবিগুলোর সুপারহিট হওয়ার আশাও হয়েছে গুড়েবালি। এর মধ্যে ডিয়ার জিন্দেগি যা একটু আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তবে এই ছবি যতটা না শাহরুখের, তার চেয়ে বেশি আলিয়া ভাটের। যা হোক, জিরো পরীক্ষায় শূন্য পাওয়ার পর থেকেই ছয় মাসের মধ্যে শাহরুখ নতুন ছবিতে যুক্ত হয়েছেন, এমন খবর পায়নি শাহরুখভক্তরা। মাঝে গুজব রটেছিল, শাহরুখকে দেখা যাবে রাকেশ শর্মার বায়োপিক, সারে জাহা সে আচ্ছা’ ও সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত শাহির লুদিয়ানভির বায়োপিকে।

আবার শোনা গেছে, ডন থ্রি দিয়ে আবারও পরিচিত সুপারহিটের চিরচেনা রথে ফিরবেন এই বলিউড বাদশাহ। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এসব গুজব হালে পানি পায়নি। গুজবগুলো যে কেবল গুজবই ছিল, তা প্রমাণিত হয়েছে। সত্যি এটাই, শাহরুখ খান এখন পর্যন্ত কোনো সিনেমায় সাইন করেননি। ফিল্মফেয়ার ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন ১৪ বার ফিল্মফেয়ার পাওয়া এই অভিনেতা। কোনো ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেছেন, আমি এই মুহূর্তে কোনো ছবি করছি না। সাধারণত, একটা ছবি শেষ করার পর আরেকটা ছবিতে যুক্ত হই। আবার তিন থেকে চার মাস পরিবার থেকে দূরে চলে যাই। এবার নতুন সিনেমায় ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য একেবারে মন টানেনি। আমার মনে হলো, এবার একটু বিরতি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো দরকার, বই পড়া দরকার, সিনেমা দেখা দরকার। সবচেয়ে বড় কথা, পরিবারকে সময় দেওয়া দরকার। আমার বাচ্চারা বড় হচ্ছে, বড় ছেলের লেখাপড়া প্রায় শেষ, মেয়েটা কলেজে যাচ্ছে। আমি শুধু পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই।

ঠিক তা–ই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটু চোখ বোলালেই শাহরুখের কথার সত্যতা মেলে। একটা ছবিতে দেখা যায়, তিনি সুহানার সঙ্গে হলুদ পোশাকে নিয়ন আলোয় রাতের রাস্তায় ঘুরছেন। আবার আরেকটা ছবিতে দেখা যায়, ছোট ছেলে আবরামকে নিয়ে নৌকায় চড়ছেন। আবরাম নাকি প্রায়ই ‘বোটিং’ আর ‘ভোটিং’ গুলিয়ে ফেলে। তাই বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে এই দুটো শব্দের পার্থক্য বোঝাচ্ছেন। আবার বড় ছেলে আরিয়ান আর তিনি ‘দ্য লায়ন কিং’ ছবির আইকনিক চরিত্র সিমবা আর মুফাসার হিন্দি ভার্সনে কণ্ঠও দেবেন। যদিও এ জন্য শাহরুখকে ‘স্বজনপ্রীতির রাজা’ বলে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কিং খানকে আবার বড় পর্দায় দেখার জন্য ভক্তদের বেশ কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।

পিবিএ/বিএইচ

আরও পড়ুন...