যে কারণে সরকারি বাসভবনকে দুগ্ধ খামার বানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী

পিবিএ ডেস্ক: গত নির্বাচনের পর আসাম রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান ভারতের আসাম রাজ্যের বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। মন্ত্রীদের জন্য নির্মিত বাসভবনে তিনি এখনো বসবাস শুরু করেননি। তবে শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য তার জন্য বরাদ্দকৃত ওই বাসভবনে নাকি গরুর জন্য গোয়ালঘর বানিয়েছেন।

কলকাতার সংবাদ মাধ্যম গুলো এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, মন্ত্রী তার জন্য নির্ধারিত বাসভবনে না গেলেও সেখানে উন্নত জাতের গরুর জন্য বাসস্থান তৈরি করেছেন। সেখানে রীতিমতো একপাল গরুকে রাখা হয়েছে। তবে তিনি সেখানে যাবেন বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উন্নত জাতের ওই গরুগুলোকে সেখানে রাখা হয়েছে ডেইরি ফার্ম তথা দুগ্ধ খামার তৈরি করার জন্য। প্রথমবারের মতো আসামের মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য সরকারি বাসভবনে দুগ্ধ খামার দিয়েছেন। অবশ্য তার আগে বিহার রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবও নিজ বাসভবনে গোয়ালঘর বানিয়েছিলেন।

আসামের শিক্ষামন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে শুধু গোয়ালঘর বানিয়ে ক্ষান্ত হননি, তিনি গরুদের দেখাশোনা করার জন্য দৈনিক তিনশ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে চারজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। জানা গেছে, ওই খামারের গরু থেকে প্রতিদিন বিশ থেকে পচিশ লিটার দুধ পাওয়া যায়।

খামারে যেসব দুধ উৎপাদন করা হয় তা পাঠিয়ে দেয়া হয় শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের বাড়িতে। তাছাড়া আসামের গোহাটির বিভিন্ন মন্দিরে পূজার কাজে ব্যবহারের জন্য ওউ দুগ্ধ খামার থেকে দুধ সরবরাহ করা হয়। উল্লেখ্য, ২১০৬ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ববিতা শর্মাকে রেকর্ড ব্যাবধানে হারিয়ে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। সূত্র:সংগৃহীত

পিবিএ/হক

আরও পড়ুন...