পিবিএ ডেস্ক: দেশে যেকোন ধরনের উগ্রবাদে র্যাব সর্বদা প্রস্তুত বলে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান- র্যাব এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁও এফডিসিতে ‘তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার উগ্রবাদ বাড়ার প্রধান কারণ’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, তথ্য প্রযুক্তি আমাদের গ্রহণ করতে হবে এবং তা ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। আমার কাছে উগ্রবাদের বিষয়ে অনেক স্টোরি আছে যা আমি আপনাদের সামনে লিখব। যে কোন জিনিস ভালোর দিকে নিলে ভালোই হবে, তাই আমরা আজকের পর থেকে সবাই প্রযুক্তিকে ভালোর দিকে নিয়ে যাব আর যেকোন উগ্রবাদের বিরুদ্ধে র্যাব সর্বদা প্রস্তত।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব সময় চাই দেশের মানুষ যেন জঙ্গিবাদ উগ্রবাদ থেকে নিরাপদে থাকে সেজন্য আমরা সব সময় কাজ করে যাচ্ছি। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে গতকালের ঘটনার পর আমরা সর্তক অবস্থায় আছি। আমরা গতকালই রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে র্যাবের টহলদারি বৃদ্ধি করেছিলাম। ওই ঘটনা থেকে আমরা বার্তা গ্রহন করে সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। অন্যান্য দেশের ক্রিকেট দল বাংলাদেশে খেলতে আসলে নিরাপত্তাজনিত বিষয়ে আমাদেরকে অনেক চাহিদা দেয়। তারা বলে সেসব চাহিদা পূরণ না করলে তারা খেলতে আসবে না। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। তাই বিসিবিকে অনুরোধ জানাবো অন্যান্য দেশে আমাদের ক্রিকেট দল খেলতে যাওয়ার আগে নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত না করলে আমাদের যাওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে আমাদের আরো কঠোর অবস্থানে আসতে হবে।
এফডিসির অডিটোরিয়ামে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘তথ্য-প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার উগ্রবাদ বৃদ্ধির প্রধান কারণ’ বিষয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের পক্ষে লালমাটিয়া মহিলা কলেজ ও বিপক্ষে দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা অংশ নেয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন। তিনি বলেন, শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ডে উগ্রবাদী এ শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি কর্তৃক জুম্মার নামাজের সময় মুসলমানদের উপর এই সহিংস-উগ্রবাদীর হামলার পর আমরা কোন বিশ্বনেতৃবৃন্দকে বলতে শুনিনি খ্রিষ্টান বা শ্বেতাঙ্গ ট্যারোরিষ্ট। কিন্তু কোন উগ্রবাদী মুসলিম এ ধরনের কাজ করলে সারাবিশ্ব জুড়ে মুসলিম ট্যারোরিষ্ট অথবা ইসলামি টেরোরিষ্ট হিসেবে আঙ্খায়িত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মত দেশে এ ধরনের ছোট-বড় কোন ঘটনা ঘটলেই তথাকথিত রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। ভ্রমনের উপর নিষধাজ্ঞা দেওয়া হয়। শত নিরাপত্তা প্রদান করার পরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল করা হয়। নিউজিল্যান্ডের ঘটনায় আমরা মনে করি আমাদের দেশ অনেক নিরাপদ। অতীতে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটা ছাড়া বর্তমানে আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাব, পুলিশ, কাউন্টার ট্যারোরিজম ইউনিট বাংলাদেশকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে। এখানে কোন সহিংস উগ্রবাদ প্রশ্রয় পাচ্ছে না। জঙ্গিবাদের কোন ঠাই বাংলাদেশে নাই।
বিতর্ক প্রতিযোগিতায় লালমাটিয়া মহিলা কলেজ বিচারকদের বিচার অনুসারে বিজয়ী হয়। পরে বিতার্কিকদের মাঝে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এতে বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, অধ্যাপক মাজহার মোশাররফ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন, এবং ড. এস এম মোর্শেদ।
পিবিএ/এফএস