যে দুই কারণে খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে গেল

পিবিএ,ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি ও তার সুচিকিৎসার দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শেষ পর্যন্ত বিফলে গেছে বলে ধরে নিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

দুটি কারণে এই সমঝোতা সফল হয়নি:

১. খালেদা জিয়া পূর্ব সিদ্ধান্তে অনঢ় ও অটুট থাকা। ২. সরকারের অনমনীয় মনোভাব। মূলত এই দুই কারণেই এমপিদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে।এখন আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প নেই দলটির সামনে।কারণ বর্তমান বা অদূর ভবিষ্যতে আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মতো অবস্থা বিএনপি এখনো তৈরি করতে পারেনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্যে গতানুগতিক। খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে নীতিনির্ধারকরা বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনী প্রক্রিয়ায় হবে না। এজন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ বিএনপি ভক্তরা। আর বিএনপির নীতিনির্ধারকদের এই ধরণের বক্তব্যে আন্দোলন করার মতো শক্তি ও সাহস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ সরকারি দলের নেতারা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পারলে আন্দোলন করে দেখাক। তাদের নেত্রীকে মুক্ত করুক।তার ওই বক্তব্যের জবাব বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মত নেতারা বললেন, খালেদা জিয়ার কারোর অনুকম্পায় মুক্ত হতে চান না।এখানে সব কিছুই চাইতে হয়, চাওয়ার কাজও চলবে, আইনি লড়াইও চলবে।

ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদল গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সরকার ইচ্ছে করেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।তারা বলেছে বিএনপি আন্দোলন করলে খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেবে এতে বোঝা যায় ইচ্ছে করেই এই বৃদ্ধা মানুষটাকে আটকে রেখেছে।চিকিৎসার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে অচিরেই মুক্তি দেয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন এই নেতা।

বিএনপির এমপিদের সমঝোতার এই উদ্যোগ বিফলে যাওয়ার দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার সুচিকিৎসা নিয়ে আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির খপ্পরে বিএনপি পড়বে না।

আলাল বলেন, আজকে অনেক কিছু বাদানুবাদ হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে সাংবাদিকরা গেলে ওবায়দুল কাদেরের কাছ গেলে এক রকম, এইচটি ইমামের কাছে গেলে এক রকম আর হাছান মাহমুদের কাছে গেলে আরেক রকম কথা।

তাহলে বিএনপির মধ্যে দুই-তিন রকম হলে অসুবিধা কোথায়। তিনি বলেন, কৌশলকে পরাস্ত করতে হলে আগে ওই কৌশলকে আয়ত্ত করতে হবে। তারপরে নতুন কৌশল ঠিক করতে হবে, এটাই হচ্ছে নিয়ম।বিএনপি সেই দিকে আছে কি না সেটাই হচ্ছে দেখার বিষয়।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...