যে লক্ষণগুলো বলে দেবে আপনি বিষাক্ত সম্পর্কে আছেন

পিবিএ ডেস্কঃ মন বিষিয়ে যাচ্ছে? প্রতিদিনই মনে হচ্ছে আমি খুব খারাপ আছি? বাকি সবাই খুব ভালো। কিছু কথা বলতে চেয়েও বলা হচ্ছে না, অনবরত নানা ট্র্যাপে পড়ছেন? তাহলে ধরে নিতে হবে আপনি যে সম্পর্কে আছেন বা যাঁদের আপনি প্রিয় বন্ধু বলে মনে করেন আসলে তাঁরা আপনার বন্ধুই নন। আপনার এই নেগেটিভ মনোভাবের জন্য পরোক্ষ ভাবে তাঁরাও দায়ী। এর মধ্যে কিছু দোষ অবশ্যই আপনার। আপনার শরীর ও মন বিষিয়ে গিয়েছে। দ্রুত এই সমস্যা থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে আপনিও কাজকর্মে উদ্যোম হারাবেন। কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি বিষাক্ত সম্পর্কে রয়েছেন।

সঙ্গীই ঠিক করে দৈনন্দিন রুটিনঃ আপনি প্রতিদিন ঘধুম থেকে ওঠার পর কী কী কাজ করবেন তা যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গীনি ঠিক করে থাকেন তাহলে সেই সম্পর্ক থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসুন। প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব জীবন রয়েছে। সেখানে কারোর হস্তক্ষেপই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ আপনি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। সুতরাং নিজের ইচ্ছেতেই চলবেন। নিজের ভালো বোধার মত যথেষ্ঠ বয়স হয়েছে আপনার।

কোনও কাজে উৎসাহ না দেনঃ আপনি নতুন কোনও কাজের কথা বললে অপর পক্ষ যদি বলে থাক, কী হবে এসব করে সেই সম্পর্ক থেকে আগেই বেরিয়ে আসুন। যে কোনও সম্পর্কে থাকা মানেই একে অপরকে উৎসাহ দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

আপনাকে সম্মান করে নাঃ সবার সামনেই আপনাকে নিয়ে খিল্লি করে, আপনাকে অপমান করে এরকম বন্ধুর থেকে দূরে থাকুন। হতেই পারে কোনও কিছুতে আপনার দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্যে সেসব বলা মোটেই কাজের কথা নয়। দুজনের সম্মান রক্ষার দায় দুজনের। সেখানে অনধিকার চর্চা বা যেচে অপমান কোনওটাই বরদাস্ত নয়। একে অপরের প্রতি সম্মান যে কোনও সম্পর্কের মূল ভিত্তি।

জোর করে যৌন মিলনঃ আপনি হয়তো সঙ্গীর সঙ্গে স্বচ্ছন্দ্য নন, কিন্তু তিনি সবসময় আপনাকে যৌন মিলনের জন্য চাপাচাপি করেন। জোর করে পার্কে নিয়ে যান। আপনার ইচ্ছা না থাকলেও যৌনসঙ্গমে বাধ্য করেন-জেনে রাখুন তা কিন্তু ধর্ষণের সমতুল্য। মন থাকলেই তবে শরীর আসে। শুধু শরীর সর্বস্ব প্রেম কখনই হয় না।

সব কথা সহজে জানাতে পারেন নাঃ আপনাদের মধ্যে প্রেম আছে, কিন্তু একে অরপরের সঙ্গে মন খুলে কথাই বলতে পারেন না। দ্বিধা থাকে। একে অপরের কাছে লুকিয়ে যান। মিথ্যে কথা বলতে হয়য়। বানিয়ে বলতে হয়। এটা ঠিক নয়। যে কোনও সম্পর্কে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়াই আসল। মিথ্যে বলে কখনও সত্যিকে ছাকা যায় না। এতে দুজনের মনেই বিরূপ প্রভাব ফেলে। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সম্পর্কথেকে দুজনেই বেরিয়ে আসুন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...