যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই প্রতিপক্ষ। ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী কমালা হ্যারিস ও তার শক্ত প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নজর এখন সাতটি অঙ্গরাজ্যের দিকে। কেননা এই রাজ্যগুলোর ফলাফল নির্ধারণ করে দিতে পারে তাদের জয়-পরাজয়। ইতিমধ্যেই সাতটি রাজ্য রাজনৈতিকভাবে রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে। এ খবর দিয়েছে ভয়েস অফ আমেরিকা।
এতে বলা হয়, ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাবের বক্তব্য অনুযায়ী, ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যেই আগাম ভোট দিয়েছেন। জাতীয় সমীক্ষাগুলো দেখাচ্ছে, কয়েক দশকের মধ্যে এটাই সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। তবে, কমালা সামান্য হলেও এগিয়ে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জনপ্রিয় ভোটে নির্ধারিত হয় না, বরং নির্বাচনী কলেজ ভোটের মাধ্যমে স্থির হয়। ৫০টি রাজ্যে পৃথকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি রাজ্যে নির্বাচনী ভোটের সংখ্যা সেই রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে হিসেব করা হয়। তাই, যে রাজ্য যত বড়, জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক ফলাফল নির্ধারণে তার প্রভাব তত বেশি। হোয়াইট হাউসে চার বছরের টিকিট পেতে ৫৩৮টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ২৭০টিতে জয় পেতে হবে যেকোনো প্রার্থীকে।
একাধিক সমীক্ষা দেখাচ্ছে, ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ৪৩টিতে কমালা অথবা ট্রাম্প যথেষ্ট বা কিছুটা স্বস্তিদায়কভাবে এগিয়ে রয়েছেন। এই রাজ্যগুলোর মধ্যে কোনো একটিতে অঘটন ঘটলে নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করবে বাকি সাতটি রাজ্যের উপর। এরমধ্যে রয়েছে উত্তরাঞ্চলের তিনটি রাজ্য- উইসকনসিন, মিশিগান ও পেনসিলভেনিয়া, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুটি রাজ্য- নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুটি রাজ্য- অ্যারিজোনা ও নেভাদা।
ফলত, কমালা হ্যারিস ও তার রানিং মেট মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এবং ট্রাম্প ও তার রানিং মেট ওহায়োর সিনেটর জেডি ভ্যান্স এই সাতটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। অন্য রাজ্যগুলিতে নজর তুলনামূলকভাবে কম।
রোববার কমালা তার ষাটতম জন্মদিন উদযাপন করলেন জর্জিয়ার স্টোনক্রেস্টের নিউ বার্থ মিশনারি ব্যাপটিস্ট চার্চে। এটি এই রাজ্যের প্রধান শহর ও ডেমোক্রেটদের শক্ত ঘাঁটি আটলান্টার প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। তারপর তিনি আটলান্টার ঠিক দক্ষিণে জোন্সবরোর ডিভাইন ফেইথ মিনিস্ট্রিজ ইন্টারন্যাশনালে হাজির হন এবং সেখানে তিনি সমর্থকদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
এদিকে, ট্রাম্প পেনসিলভেনিয়ায় ম্যাকডনাল্ডের এক ফাস্ট-ফুড রেস্তোরাঁয় অ্যাপ্রন পরে রান্নাঘরে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরিতে হাত লাগিয়েছেন এবং ক্রেতাদের হাতে খাবার তুলে দিয়েছেন।
কমালা সোমবার পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে প্রচারণা চালিয়েছেন। অন্যদিকে ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনার গ্রিনভিলে যাবার কথা।