পিবিএ ডেস্ক: আপনি যদি প্রতিদিন কয়েক গ্লাস হালকা গরম পানি খান তবে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। চলুন জেনে নেই হালকা গরম পানি পানের ৭ উপকারিতা
খেতে বসে পানি পানের অভ্যাস থাকে অনেকেরই। এতে খাবারের সঙ্গে পাচক রস ঠিকভাবে মিশতে পারে না। ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা দেয়। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস হালকা গরম পানি খাওয়া যায়, তাহলে অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হালকা গরম পানি খাবার দ্রুত হজমেও সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে পেট সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
হালকা গরম পানি খেলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাটা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয় বেশি। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়।
দ্রুত মেদ ঝরাতে হালকা গরম পানি অত্যন্ত কার্যকরী। হালকা গরম পানি খেলে শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং সহজেই অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। এটি ক্ষুধা বোধ কমিয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে মেদ ঝরবে দ্রুত। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি খেলে শরীরের টক্সিক উপাদানগুলো সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বাড়বে শরীরের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাও। শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে শিরা, ধমনীতে রক্তচলাচলের গতিও স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে খান এক গ্লাস হালকা গরম পানি। হালকা গরম পানি শরীরের সক্ত সঞ্চালন বাড়বে, শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যাবে। ফলে ব্যথাবোধও ক্রমশ কমে আসবে।
প্রতিদিন সকালে খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজম, গ্যাস্ট্রিকের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এতে ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। পেট পরিষ্কার থাকলে ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকেও সহজেই দূরে থাকা যায়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে হালকা কুসুম পানি পানের অভ্যাস করুন ।
পিবিএ/বাখ