পিবিএ,ডেস্ক: লম্বা মানুষ তা ছেলে হোক কিংবা মেয়ে সবাই পছন্দ করে। উচ্চতার মাধ্যমে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে অনেকখানি। আবার যেকোনো পোশাকে মানিয়েও যায় খুব সহজে। উচ্চতা অনেকখানি নির্ভর করে জিনের ওপর। তাই সন্তানের উচ্চতা নিয়ে বাবা মায়ের চিন্তার সীমা থাকে না। বংশগতির পাশাপাশি উচ্চতা ডায়েটের ওপরও নির্ভর করে থাকে অনেকখানি। কিছু খাবার আছে যা আপনার সন্তানের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখুন।
ডিম : প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনার সন্তানকে লম্বা করতে। প্রতিদিন একটি ডিম খাদ্যতালিকায় রাখুন। তা সিদ্ধ হতে পারে আবার ওমলেট করেও খাওয়াতে পারেন।
দুধ : প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, মিনারেলসহ অনেক ভিটামিন পাওয়া যায় এক গ্লাস দুধে। ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে তোলে। আপনার শিশুটি যদি দুই বছরের নিচে হয় তবে ফুলক্রিম দুধ খাওয়াবেন। দুধে থাকা ফ্যাট তার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। টকদই এবং পনির দুধের পরিবর্তে খাওয়াতে পারেন।
সয়াবিন : সয়াবিন আপনার শিশুর হাড় এবং পেশি মজবুত করে তোলে। এর সাথে এটি উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে থাকে। সয়াবিন সবজির মতো করে রান্না করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারবেন।
মুরগির গোশত : মুরগির গোশত প্রায় সব শিশুর অনেক পছন্দ। খাবারের তালিকায় এই খাবারটি রাখুন। প্রোটিনসমৃদ্ধ এই খাবারটি তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তবে প্রতিদিন মুরগির গোশত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না করাই ভালো।
পালং শাক : পালং শাককে সুপার সবজি বলা হয়ে থাকে। এটি আপনার শিশুর হাড় মজবুত করার পাশাপাশি আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শিশুকে লম্বা করতে সাহায্য করে থাকে।
গাজর : ভিটামিন এ-সমৃদ্ধ এই সবজিটি প্রোটিন সমন্বয় করতে সাহায্য করে। গাজর রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়া বেশ উপকারী। কাঁচা গাজর সালাদ অথবা রস করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
ফল : ফলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবাই জ্ঞাত। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ ফল যেমন মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, টমেটো, কলা, পিচ ফল ইত্যাদি উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এই ফলগুলো নিয়মিত আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন।
ডা: রুমানা চৌধুরী
পিবিএ/এফএস