যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক প্রধান আসামি সুজন ফকির (২৬)’কে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা জেলার তুরাগ থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-০২।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‍্যাব ২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপু গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সুজন ফকির ও ভিকটিমের ৮ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই আসামি ভিকটিমের নিকট যৌতুক দাবি করে আসছিল। ঘটনার ০১ মাস পূর্বে আসামি যৌতুকের জন্য ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতন করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার আগের দিন আসামি শশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং ভিকটিমের সাথে একত্রে রাত্রী যাপন করার কথা বলে এক রুমে থাকে। সকালে ভিকটিমের পরিবার দেখতে পায় মেয়ের রুমের দরজা খোলা। রুমের ভিতর যেয়ে দেখে ভিকটিম খাটের উপর শুয়ে আছে। বারবার ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পেয়ে কাছে যেয়ে দেখে ভিকটিমের কান বেয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পরিবারের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে আসামি সুজন ফকির ও তার পিতা-মাতাকে আসামি করে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-০২/১৬৬ তারিখ ০৮/১০/২০২৪ ইং ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ১১(ক)/৩০ (সংশোধনী-২০০৩) দায়ের করেন।

র‌্যাব-২ উক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা জেলার তুরাগ থানাধীন কামারপাড়া পানির পাম্প এলাকায় আভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেফতার করে। ভবিষ্যতে র‌্যাব-২ এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন...