দৌলদিয়ার যৌনপল্লিতে নায়িকা নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় ইয়াশ রোহানের। সেই থেকে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। সম্পর্ক থেকে দুজনের মন দেয়া নেয়া।জীবন ও জীবিকার কারণে দৌলদিয়ার যৌনপল্লিতে দেহব্যবসা করেন তিশা।
তাকে ভোগ করতে সে পল্লিতে প্রায় যাওয়া আসা রোহানের। সেখান থেকে দুজনকে দুজনার ভালোলাগা এবং ভালোবাসা। রোহান তিশাকে আর ক্ষণিকের জন্য নয়, পেতে চায় একেবারে আজীবনের জন্য। তিশাও পেতে চায় রোহানকে। কিন্তু সমাজের কথা চিন্তা করে তিশা কিছুটা এগিয়ে আবার পিছিয়ে আসে। রোহান তাকে নানাভাবে সাহস যোগাতে থাকে। তারপরও দ্বিধা কাটে না তিশার। রোহান কি শেষ পর্যন্ত পারে তিশাকে যৌনপল্লি থেকে বের করে আনতে। এমন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর। কারণ ওইদিনই মুক্তি পাবে তিশা-রোহান জুটির প্রথম চলচ্চিত্র ‘মায়াবতী’।
অরুণ চৌধুরীর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে ‘মায়াবতী’। প্রায় হাজার নাটকের নির্মাতা অরুণ চৌধুরীর এটি দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। প্রথমটির নাম ছিল ‘আলতাবানু’। ‘মায়াবতী’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে আনোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি ভিশন। তিশা-রোহান ছাড়াও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, দিলারা জামান, মামুনুর রশীদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আফরোজা বানু, অরুণা বিশ্বাস, তানভীর হোসেন প্রবাল, আগুনসহ অনেকে।
এ প্রসঙ্গে ইয়াশ রোহান বলেন, ‘স্বপ্নজালের পর কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। তবে কোনোটার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। তবে মায়াবতীর ইকবাল চরিত্রটি আমার জন্য শতভাগ পারফেক্ট মনে হয়েছে। আমি মনে করি, আমরা যেমন আনন্দ নিয়ে কাজটি করেছি, তেমনি দর্শকও আনন্দ নিয়ে চলচ্চিত্রটিকে গ্রহণ করবেন।
পিবিএ/বিএইচ