যৌনপল্লীতে বিক্রি,আত্মচিৎকারে রক্ষা পেল কুষ্টিয়ার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী

পিবিএ ,কুষ্টিয়া : রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল কুষ্টিয়ার সিনথিয়া খাতুন নামের ৮ বছর বয়সী এক শিশু। সে কুষ্টিয়ার জগতি এলাকার আব্দুস ছালামের মেয়ে ও স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী । দুর্বৃত্তরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অচেতন করে দৌলতদিয়ায় নিয়ে এসেছিল। মধ্যরাতে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে শিশুটির জ্ঞান ফিরে আসলে চিৎকার-চেচামেচি করে রক্ষা পায়। রোববার দুপুরে স্থানীয় থানা পুলিশ শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছে।


পুলিশ, উদ্ধার হওয়া শিশু ও তার বাবা জানান, দুই ভাই বোনের মধ্যে সিনথিয়া ছোট। শনিবার বিকেলে দুই ভাই বোনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই রিফাত মারধর করলে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কান্না করতে থাকে। সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি শিশুকে জানায়, তার বাবা তার সঙ্গে যেতে বলেছে। এ কথা বলেই একটি রুমাল বের করে তার মুখে ধরে। মুহুত্তের মধ্যে সে অচেতন হয়ে পড়লে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে সেখান থেকে বাসে করে রাত ২টার দিকে দৌলতদিয়ায় নিয়ে আসে। এ সময় শিশুটির জ্ঞান ফিরে আসলে সে চিৎকার-চেচামেচি করতে থাকে।

এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় সিনথিয়া দৌলতদিয়া পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেয়। বিপদ আঁচ করতে পেড়ে অপহরনকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ বক্স থেকে তাৎক্ষনিক গোয়ালন্দ ঘাট থানায় জানালে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শিশুটির কাছ থেকে পরিবারের ঠিকানা জানার পর এবং বাবা আব্দুস ছালামকে ফোন করলে পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে শিশুটির জ্ঞান ফিরে না আসলে হয়তো বড় বিপদ হতে পারতো এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী এন্ট্রি করে পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে ।

আরও পড়ুন...