রংপুরের টাইপিষ্টদের দুর্দিন

 

পিবিএ, রংপুর : হাজার মানুষের সমাগমে রংপুর কোর্ট চত্বরে কেউ খোঁজ রাখেনা টাইপিষ্ট গোপালের। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে খট খট শব্দে হাতের কারুকার্যে সংসার চালান গোপাল। কম্পিউটারের ব্যাপকথায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে গোপালের টাইপিং পেশা। ৬০ বছর বয়সের ভারে নতুন করে কম্পিউটার প্রযুক্তি না শেখায় হিমসিম খেতে হচ্ছে সংসার চালাতে। গোপাল চন্দ্র বর্মন(৬০) রংপুরের সেন্ট্রারোডে স্ত্রী ও ১ মেয়ে কে নিয়ে বসবাস করেন। সকাল হলে চলে আসেন রংপুর কোর্ট চত্বরে বটতলার মোড়ে। ছোট একটি টেবিলের ওপরে দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে টাইপ মেশিনে খট খট করে উকিলের দেওয়া কাজ টাইপ করেন তিনি।

আগে কাজ করতে করতে হাপিয়ে যেতেন আর এখন দিনে কয়েকটা কাজ আসে তার হাতে। একটি করে পেজ টাইপ করলে গোপাল পায় মাত্র ১০-১৫ টাকা আর এভাবে সারাদিনে যা আয় করে তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয় গোপাল কে। গোপাল পিবিএ কে জানান আমরা এখন নতুন প্রযুক্তি কম্পিউটারের ব্যাবহার করতে জানিনা আর এই বয়সে প্রশিক্ষন নিয়ে নতুন কম্পিউটার কেনার কোন সামর্থ নেই।আমার একটি মেয়ে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছি কিন্তু ডিসেম্বর মাস আসলে আমাদের চিন্তার শেষ থাকে না কারন সে সময় কোট বন্ধ থাকে। ফৌজদারি কোট খোলা থাকলেও তুলনামূলক কাজ পাওয়া যায় না।

গোপালের মতো সেখানে টাইপ মেশিনে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আরো ৭-৮ জন টাইপিষ্ট তাদেরো আয় খুব কম। অন্য একজন টাপিষ্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম তিনি বলেন কম্পিউটার আসার আগে দিনে শত শত কাজ পেতাম আর অনেক টাকা আয় করে শান্তিতে সংসার চালাতাম আর এখন মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি কাজ করে কোন রকম দিন পার করে যাচ্ছি। কোর্ট চত্বরে হাজারো মানুষের ভিড়ে আমাদের দুঃখ দূর্দশার কথা কেউ প্রকাশ করে না।

পিবিএ/এএস/হক

আরও পড়ুন...