মেজবাহুল হিমেল, রংপুর : রংপুরের পল্লীনবাসে ডিও লেটারে সুপারিশ না করাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনায় এমপি সাদ এরশাদের লোকেরা বয়োজ্যেষ্ঠ এক প্রবীণ নেতাকে মারপিট করে পুলিশে দেয়ায় ফুঁসে উঠেছে মহানগর জাতীয় পার্টি।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আটক নেতা টিপু সুলতান ওরফে রংপুরীর মুক্তিসহ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। একই সাথে এমপির লেলিয়ে দেয়া বহিরাগত গুন্ডাবাহিনীকে আইনের আওতায় নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে দলের মহানগর সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা।
বুধবার (৩ জুন) দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় পার্টির ইতিহাসে জাতীয় পার্টিরই একজন সংসদ সদস্যের লেলিয়ে দেয়া গুন্ডাবাহিনী দিয়ে মহানগর জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি, ২৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী আমাদেরও সিনিয়র নেতা টিপু সুলতান রংপুরীকে বেধড়ক পিটিয়ে পিটিয়ে আহত করা এবং তাকে থানায় সোপর্দ করার বিপক্ষে আমার এই অবস্থান। আমরা শান্তিপুর্ন বিক্ষোভের মাধ্যমে জড়িত সন্ত্রাসীদেও ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও টিপু সুলতানের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আল্টিমেটামের সময় শেষ হওয়ার পর আমরা বিক্ষোভ, স্মারকলিপিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি দিবো।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টি একটি শান্তিপুর্ন দল। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না। কিন্তু একজন সিনিয়র নেতার প্রতি যে অসম্মান করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ করাই আমার নৈতিক দায়িত্ব। এখন দেশে একটা করোনাকালিন অচলাবস্থা বিরাজ করছে। তার মাঝেও যেহেতু দল আমরা করি, দলকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে, দলের কর্মীদের সম্মান বাঁচানোর স্বার্থে আমাদের নেতাদের আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। আমাদের কর্মসূচি অগ্নিগর্ভ হতো, কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতির কারণে আমরা সীমিত পরিসরে আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
মেয়র দাবি করেন, ঘটনার পরপরই তিনি পল্লীনিবাসে গিয়েছিলাম, কিন্তু এমপি মহোদয় তার কাছে আসেন নি, এমনটি উপরেও উঠার কথাও বলেন নি। উপরন্ত পুলিশ প্রটেকশন দিয়ে তার গুন্ডাবাহিনী দিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হাত তুলেছে।
এসময় জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির, সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন কাদেরী, মহানগর ছাত্র সমাজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছোটসহ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর পায়রা চত্বর ও জাহাজ কোম্পানী মোড়-বেতপট্টি হয়ে রংপুর টাউন হল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতারা বক্তব্য রাখেন।
পিবিএ/মেজবাহুল হিমেল/এমএ
ভাই ছবি দুইটা ব্যাবহার করিয়েন তো