পিবিএ ডেস্কঃ আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ও হঠাৎ নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় টানা বৃষ্টিকে সঙ্গ করেই মশার উপদ্রব বাড়তে থাকে। নতুন করে প্রস্তুতি নেয় পতঙ্গবাহিত জ্বর। এই সময়ে তাই সাবধানতা ও সচেতনতাই একমাত্র প্রতিরোধ করতে পারে অসুখের থাবা।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, সদ্য মশাবাহিত অসুখে ভুগেছেন এমন অনেকের রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমে শরীর বেশ ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়ে এমন আবহাওয়ায়। তবে তা রোখার জন্য রোগীর খাবার পাতেই লুকিয়ে থাকে অনেক সমাধান। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অমিত পুরকায়স্থর মতে, ‘‘লোহিত ও শ্বেত রক্তকণিকার চেয়েও আকারে ছোট হয় এই অণুচক্রিকা৷ রক্তের জমাট বাঁধা তো বটেই, রক্তক্ষরণ রোধেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ তবে কেবল ডেঙ্গিই নয়, অ্যানিমিয়া, লিউকোমিয়া ও কিছু ভাইরাল ফ্লুয়ের সময়ও এই অণুচক্রিকার পরিমাণ কমতে পারে। ক্যানসার, রক্তে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বা কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়াও এর জন্য দায়ী হতে পারে।’’
সাধারাণত জ্বর, ক্লান্তি, কেটে-ছড়ে গেলে সহজে রক্ত বন্ধ না হওয়া, মল-মূত্র থেকেও রক্তপাত ইত্যাদি প্লেটলেট কমার অন্যতম লক্ষণ। তবে রক্তপরীক্ষায় এই অুচক্রিকা বা প্লেটলেট কমেছে দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণ নেওয়া উচিত। নিয়ম করে ওষুধ ও যত্নের সঙ্গে ঘরোয়া কিছু খাবারে জোড় দিলেও প্লেটলেট বাড়ে সহজেই।
পেঁপে পাতা ও পেঁপে: ডেঙ্গির বেশির ভাগ ওষুধও তৈরি হয় পেঁপে পাতার রস থেকে। পেঁপে পাতার রসের এই ক্ষমতার বিষয়টি ১০ বছর আগেই মালয়েশিয়ার ‘এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ তাদের সুস্পষ্ট গবেষণায় ব্যাখ্যা করে।
আমলকি: যেহেতু ভিটামিন সি প্লেটলেট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবার প্লেটলেট বাড়ায়। এরা রোগ প্রতিরোধও করে, তাই আমলকি, লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রাখুন পাতে।
বিটের রস: বিটের রস প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর৷ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণও এর হাত ধরে বাড়ে। শীতকাল জুড়ে প্রতি দিন ডায়েটে এক গ্লাস বিটের রস রাখুন।
কুমড়ো: শরীরে প্রোটিনের জোগান বাড়াতে উদ্ভিজ্জ উৎসগুলোর মধ্যে কুমড়োও রয়েছে। এই প্রোটিনই প্লেটলেট তৈরিতে সাহায্য করে। তাই ডেঙ্গি আটকাতে ও প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়াতে কুমড়োর বীজ ও কুমড়ো দুই-ই রাখুন ডায়েটে।
পিবিএ/এমআর