পিবিএ ডেস্ক : অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একদিন না আসেন, ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’র দর্শকের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। মাঝে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সিজনে এই শো সঞ্চালনা করেন জুন মালিয়া আর দেবশ্রী রায়। তবে গত চার বছর ধরে রচনা-ই এই শো’র কাণ্ডারি। যাকে ঘিরে এত কথা, সেই রচনা সিনেমা ছেড়ে শুধু-ই ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ করছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে রচনা বলেন, ‘এই শো থেকে মানুষের জীবনের সঙ্গে মিশে গিয়েছি। তাদের নানা দিদিগিরি আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। এরপর আর স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করে অভিনয় করতে ভালোলাগে না। প্রতিযোগীরা যখন এসে বলেন, খেলতে বা উপহার পেতে নয়, শুধু তোমার সঙ্গে জীবনের গল্প ভাগ করতে এসেছি, তখন সিনেমা করছি না, এই বিষয়টাই আর গুরুত্ব পায় না।’
এখন প্রশ্ন হলো, রচনার মধ্যে কোন রহস্য রয়েছে, যা তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গেছে? উত্তরটা শোনা যাক জি বাংলার চ্যানেলের বিজনেস হেড সম্রাট ঘোষের মুখ থেকেই। তিনি বলেন, “জুন বা দেবশ্রী খারাপ সঞ্চালক ছিলেন না। তবে একটি শো যাকে দিয়ে শুরু হয়, দর্শক সেই জায়গায় অন্য কাউকে পছন্দ করেন না। যেমন, ‘দাদাগিরি’ । অনেক চ্যানেলের প্রাইম টাইমের মেগা ধারাবাহিকের রেটিংকেও হার মানায় ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’। কারণ রচনা এখন আর শুধু সঞ্চালক নন, তিনি প্রতিযোগীদের ঘরের মানুষ। মানুষ তাদের সব কথা খুব সহজে ওর সঙ্গে ভাগ করে নেন। তাই মানুষ রচনার জন্য এই শো’তে আসেন বলেই আমার বিশ্বাস।’
এই শো-এর এক সিজনের সঞ্চালক জুন মালিয়া বলেন, ‘রচনা এভারগ্রিন। এটা ওর শো। মাঝে আমি আর চুমকিদি (দেবশ্রী রায়) সঞ্চালনা করেছিলাম, দর্শক দেখতেনও, তবে রচনার জনপ্রিয়তার ধারে-কাছে নয়। আসলে দর্শক এই মঞ্চে ওকেই দেখতে চান। এখন তো এত বছর ধরে টানা এই শো সঞ্চালনা করছে। মানুষের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। দর্শক তথা বন্ধু হিসেবে আমি ওকে একশোতে দুইশো দেব।’ জুনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট তিনি নিজেও রচনার ফ্যান, আর দর্শকও।
পিবিএ/জিজি