মাওলানা এম. এ. করিম ইবনে মছব্বির: আজ ষষ্ঠ রমজান, ১৪৪১ হিজরী। মুসলিম উম্মাহর ধর্মীর আবশ্যিক বিষয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ রোজা সবাই অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করে থাকি। এ সময়ের বিধিনিষেধগুলো যথাযথ পালনের চেষ্ট করি।
কিন্তু সর্বক্ষণের জন্য যাহা হারাম ও অবৈধ, যার পংকিলতা থেকে মুক্তি দান করাই রোজার এই মহান প্রশিক্ষণ তা আমরা মোটেই পরিত্যাগ করতে পারি না। অনেকে রোজা রেখে অযথা সময় কাটানোর জন্য অশ্লীল ফিল্ম ও গান বাজনা, খেলাধুলা ইত্যাদি নিয়ে মগ্ন থাকেন এ প্রকৃতির রোজাদারের সংখ্যা কম নয়।
ফ্রিজ অন করে দিয়ে ফ্রিজের দরজা খুলে রাখলে ফ্রিজে কি আইস জন্মে? উত্তর হবে না, ঠিক তদ্রুপ আমরা নিজেদের মধ্যে রোজার সুইচ অন করে দিয়ে সর্বপ্রকার নাফরমানীর দরজা জানালা খুলে বসে থাকলেও কিন্তু হবে না।
এ প্রসঙ্গে মহানবী (সাঃ) যে দুজন মহিলার একদিনের রোজা সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ওরা হালাল বস্তুু বর্জন করে রোজা রেখেছিল বটে কিন্তু হারাম বস্তুু দ্বারা যে রোজা ভেঙ্গে ফেলেছে।
উল্লেখ্য যে উক্ত দুই মহিলা রোজা রেখে গীবত করেছিল। মোট কথা রোজার প্রকৃত ফজিলত ও উপকারিতা পেতে হলে মিথ্যা বলা, গীবত, কু-দৃষ্টি, হারাম উপার্জন, টিভি, ভিডিও গানসহ অডিও ইত্যাদি যাবতীয় গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকা।
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, চারটি কাজ রমজান মাসে বেশী করে করবে। দুটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং দুটি কাজ যা পালন না করলে তোমাদের উপায় নেই। প্রথম দুকাজ যা দ্বারা আল্লাহকে খুশি করবে।
১. কলিমা তাইয়্যেবা
২. আস্তাগফিরউল্লাহ
দ্বিতীয় দুকাজ আল্লাহর নিকট বেহেশতের প্রার্থনা করা। কোরআন তেলাওয়াত করা। হযরত উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত নবী করীম (সাঃ) বলেন যে তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তম যিনি কোরআন শরীফ নিজে শিখেছেন এবং অপরকে আল কোরআনের শিক্ষা দিয়েছেন।
অতএব, রমজান মাস কোরআন নাযিলের মাস আর জিকিরের মধ্যে সর্বোত্তম জিকির হলো কোরআন তেলাওয়াত করা। আল্লাহপাক যেন আমাদেরকে সুষ্ঠুভাবে রোজার পূর্ণাঙ্গ হক আদায় সহ রোজা রাখার তৌফিক দান করেন। আমীন
পিবিএ/এএম