রমজানে ইফতার সামগ্রীর দাম চড়া, দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ

পিবিএ,জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে রমজানে সব ফলের দাম বেশী হয়েছে॥ সবচেযে দাম বেশী হয়েছে তরমুর্জে যে তরমুজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজী দওে বিক্রি হতো সেই তরমুজ এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। যে তরমুজ ২০০ টাকায় পাওয়া যেত সেই তর মুজ প্রকার ভেদে ৫০০ তেকে ৭০০ টাকা হয়েছে। আর আপেল ছিল ১২০ টাকা কেজী সেই আপেল ২০০ টাকা, আংগুর ছিল ২০০ টাকা কেজী এখন আংগুর ২৮০ টাকা, মালটা ১৫০ টাকার এখন ২০০ টাকা, নাসপাতি ১৮০ টাকা সেই নাসপাতি ৩০০ টাকা, কলা ২০ টাকা হালি সেই কলা ৩০ টাকা হালি দওে বিক্রি হচ্ছে।

খেজুর প্রকার ভেদে বিভিন্নদাম ১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা কেজী পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।আর চিকন জিলেপি ২৪০ টাকা কেজী, মোটা জিলেপী ১৮০ টাকা, সাধারন জিলেপী ৮০ টাকা , বেগুনী, ছোলা, পিয়াজু, মুরির মুল্য ও বৃদ্ধি পেযেছে। গত বছর যে ইফতারী ২৫ টাকায় ক্রয় করা যেত সেই ইফতারী এখন ৫০ টাকার নীচে পাওয়া যায়না। গরীব মানুষের জন্য খুবই ব্যায় বহুল। রাস্তার ধাওে খোলা জায়গায পুবৃবাজাওে ইফতার সামগ্রী পসরা সাজিয়ে বিক্রি করছে। এতে কওে সাধারন মানুষের যাতায়াতের খুবই দুর্ভোাগ পোহাতে হচ্ছে।

রমজানে ইফতার সামগ্রীর দাম চড়া
রমজানে ইফতার সামগ্রীর দাম চড়া

ইফতারীতে রং মিশিয়ে আকর্ষনীয় কওে বিক্রি করছে , এত কওে স্বাস্থেও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। অপর দিকে কালাই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে নানা ধরনের ইফতারসামগ্রীর জমজমাট পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। তবে গতবারের চেয়ে এবার রমজান মাসে ইফতারসামগ্রীর দাম অনেক চড়া। রোজার প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। আবার রোজাদার ব্যক্তিদেরকে মন ও চোখকে আকৃষ্ট করার জন্য ওইসব ইফতারসামগ্রীতে মানবদেহের ক্ষতিকারক খাবারে রং, সোডা ও স্যাকারিন দিয়ে খাবার তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে। তবুও উপজেলার রোজাদার ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী ইফতারসামগ্রীর ক্রয় করতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কালাই পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে, অলি-গলি, ফুটপাতে বাহারি ধরনের ইফতারসামগ্রী চোখে পড়লো। আর প্রায় সবখান থেকেই হরেক রকমের ও বাহারি ধরনের ইফতারসামগ্রীর ঘ্রাণ নাকে এলো। রোজার প্রতিদিনেই বিকেল থেকেই শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের হই-হুল্লোড়। রোজাদার ব্যক্তিরা সারা দিনে রোজা থেকে যেই যেভাবেই পারছেন ইফতারসামগ্রীগুলো তাদের সাধ্যমতো তা ক্রয় করছেন।

আর রোজাদার মানুষেরা বেশি দামে ওইসব বাহারি ধরনের ইফতারসামগ্রী ক্রয় করছেন। তবে গতবারের চেয়ে এবার রমজান মাসে ইফতারসামগ্রীর দাম অনেক চড়া। আর সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষেরা। যারা সাধারণত বাইরে বেশির ভাগ ইফতার করেন। অন্যদিকে রোজাদার ব্যাক্তির জন্য প্রতিদিন যে সব ইফতারসামগ্রীর তৈরি করেন তা বিক্রি না হলে সেগুলো আবারও নতুন ভাবে পরের দিন বিক্রি করছেন দোকানিরা। তারা কালাই পৌরসভার ব্যস্ততম ফুটপাতসহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, অলি-গলির উপর অস্থায়ী ভাবে দখল করে এবং এলো-মেলো ভাবে ইফতারি বাজার বসিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করছেন। এর ফলে রোজাদার ব্যাক্তিদের চলাচলের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের অটোভ্যান চালক মোখলেছুর রহমান ও বায়হান আলী বলেন, গতবারে ইফতারসামগ্রীর দামের চেয়ে এই রমজান মাসে ইফতারসামগ্রীগুলোর দাম অনেক বেশি। গতবারের চেয়ে চলতি রমজান মাসে ইফতারসামগ্রীর কেজি প্রতি ১৫ টাকা থেকে ২০টাকা দাম বেশি। যে ইফতারি গতবারে ১০ টাকা দিয়ে কিনলেই হয়ে যেত, এবার ওই পরিমান টাকার দিয়ে সেই ইফতারি দিতে চান না দোকানিরা। যা আমাদের মতো রোজাদার মানুষের জন্য ওইসব ইফতারি কিনে খাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দড়িয়েছে।

কালাই পৌরসভার পাঁচশিরা বাজারের ইফতার কিনতে আসা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেশির ভাগ ইফতারসামগ্রীগুলো দেখে মনে হচ্ছে ক্ষতিকারক খাবারে রং, সোডা ও স্যাকারিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া ইফতারসামগ্রী বিক্রির জন্য দোকানিরা ব্যস্ততম ফুটপাতসহ অলি-গলির উপর দখল করে অস্থায়ী ভাবে ইফতারী দোকান দিয়ে বসে আছেন। এতে আমাদের চলাচলের অনের সমস্য হচ্ছে। তাই রোজাদার ব্যক্তিদের সার্থে প্রশাসনের সু-নজরদারি থাকা দরকার।

কালাই বাসট্যান্ডের ইফতারসামগ্রী বিক্রেতা জাহিদুল ইসলাম ও শিমু জানান, সবসময় তারা সুন্দর পরিবেশে ও ভালো ভাবে ইফতারসামগ্রী তৈরি করে থাকেন। তাছাড়া ইফতারসামগ্রীর বেশি দামে তারা বিক্রি করতে চাইনা। তাদের দাবী বর্তমান বাজারে ইফতার তৈরি সামগ্রীর দাম অনেক চড়া। তাই একটু বেশি দামে ইফতারসামগ্রীর বিক্রি করতে হচ্ছে তাদেরকে। বর্তমান ইফতারসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সিদ্ধ ছোলা ৮০ টাকা। প্রতি কেজি বুন্দিয়া ৮৫ টাকা।

প্রতি কেজি পেঁয়াজু ১০০টাকা। মান ভেদে প্রতি কেজি খেজুর ২৫০টাকা। প্রতি কেজি জিলাপী ১২০টাকা। প্রতি কেজি চানাচুর ১০০টাকা । প্রতি কেজি মুড়ি ৫৫ টাকা। প্রতি কেজি চিড়া ভাজা ১০০ টাকা। প্রতি কেজি সরভাজা ১২০টাকা। প্রতি পিচ বেগুনির চপ ৬ টাকা । প্রতি পিচ আলুর চপ ৬ টাকা। প্রতি পিচ ডিমের চপ ১৫ টাকা দরে। প্রতি পিচ চিংড়ির চপ ১০ টাকা। প্রতি পিচ মিষ্টি লাউয়ের চপ ৬ টাক দরে বিক্রি করছেন।

কালাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নীলিমা আফরিন অনির্বাণ বলেন, ইফতারসামগ্রী তৈরির সময় খাবারে রং, সোডা ও স্যাকারিন ব্যবহার হলে রোজাদার ব্যক্তিদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়াসহ স্বাস্থের জন্য অনেক ঝুঁকিপুর্ন। এটি করাসিনোজেন হিসেবেও শরীরে ক্ষতি করে। বাসি খাবারের ফলে হজমের সমস্যা সৃষ্টিসহ ফুড পয়জনিং, ডায়রিয়া হতে পারে।

কালাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.আফাজ উদ্দিন বলেন, পবিত্র এই মাসে উপজেলাতে ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিতে এবং খাবারের সব ধরনের ভেজাল প্রতিরোধের জন্য আমারা ভ্রাম্যমাণ আদলত পরিচালনা কারছি।

পিবিএ/এবিএস/আরআই

আরও পড়ুন...