পিবিএ,ঢাকা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর(৩০)’কে দীর্ঘ দশ বছর পলাতক থাকার পর ডিএমপির মুগদা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর(৩০) একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী।
গ্রেফতারকৃত আসামি গত ২০১৩ইং সালে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানায় মামলা নং-৬২০, তারিখ-১৩/০১/২০১৩খ্রিঃ, ধারা-১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর টেবিল ৩(খ) মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ১২ মাস জেল হাজতে থাকার পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।
অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামি মোঃ মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর(৩০)’কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান পূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর(৩০)’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ২৪/০৫/২০২৩খ্রিঃ দিবাগত রাতে রাজধানীর মুগদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মোঃ মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর(৩০),কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উল্লিখিত মাদক মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায় যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো দিন মজুর, ভ্যান চালক এবং অটোরিক্সা চালাতো। উক্ত কাজের আড়ালে মাদক পরিবহণ এবং মাদকসেবীদের কাছে মাদক বিক্রি করত। সর্বশেষ মুগদা এলাকায় নিজের নাম পরিবর্তন করে সাগর নামে রিক্সা চালাত এবং উক্ত এলাকায় বসবাস করত। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে তাহার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।