পিবিএ, ঢাকা: রাজধানীর তুরাগে তাফালিয়ায় সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বোনের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । ডাকাতদের ধারালো চাপাতির আঘাতে ও ককটেল বিস্ফোরণে ৫ জন আহত হয়। ডাকাতদের হামলা প্রতিরোধ করতে শটগান থেকে গুলি চালায় বাড়ীর লোকজন। এতে তিন ডাকাত আহতাবস্তায় পালিয়ে যায়।
শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। রোববার দুপুরে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থলে পোঁছে সকল আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেন।
ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বোন জামাই আলী হোসেনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিএমএইচে সিসিউতে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাতদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে মন্ত্রীর ভাগিনা নৌবাহিনীর লে.কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মমিন,জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন আহত হলে সিএমএইচ ভর্তি করা হয়। ডাকাত দলে দুইজন আহতবস্থায় পালিয়ে যায়। ডাকাতরা বাড়ী থেকে কোন মালামাল নিতে পারেনি। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আবদুল লতিফ বিশ্বাসের মেয়ে লতিফা সিদ্দিকী পিবিএ’কে বলেন, আমাদের বাড়ীর পাশে আমার ফুফা সাবেক রেলওয়ে কর্মকর্তা আলী হোসেনের বাড়ী। শনিবার দিবাগত রাত ২টা সময় ককটেলের শব্দে ঘূম ভাঙ্গলে পাশের বাড়ীতে ডাকাত ডাকাত হৈচৈয়ের শব্দ শুনতে পেয়ে আমি বটি আর আমার ভাই টুকু বিশ্বাস শর্টগান নিয়ে বাহিরে বের হয়ে টুকু ২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছোড়ে। এসময় কয়েকজন ডাকাতদের আহতবস্থায় দৌড়ে পালাতে দেখি। আগেও একবার তাদের বাড়ীতে ডাকাতির কথা জানান তিনি।
আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বোন ফিরোজা বেগম বলেন, বাউন্ডারী দেয়াল টপকে বাড়ীর ভীতরে প্রবেশ করে চার তলা বাড়ীর ২য় তলার ফ্ল্যাটের মূল গেট শাবল দিয়ে গেইট ভাঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করার সময় আমরাদের সবার ঘূম
ভেঙ্গে যায়। আমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মমিন ডাকাতের প্রতিরোধের চেষ্টা চালালে তার শরীরে ককটেল ছোড়ে মারলে তা বিস্ফোরণ হয়। তার পেট রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হয়। তাদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। ডাকাতরা সবাইকে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। আমার স্বামী ও বড় ছেলে আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়। আমার হাত কেটে রক্তাক্ত হয় ছেলের বউও সামান্য আহত হয়।
তুরাগের উলুদাহা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই শফিউল জানান, ডাকাতদের ১টি মাফলার জব্দ করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট সকল আলামত সংগ্রহ করেছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশে একাধিক টীম অভিযান চালাচ্ছে।
পিবিএ/ এমই এস/জেডআই