রাজধানীর ভাটারা থেকে গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার

পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর ভাটারা ছোলমাইদ ফরাজিটোলা কবরস্থান রোডের একটি বাসা থেকে হাত পা বাধা, গলায় জিয়াই তার বাধা এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম আয়শা আক্তার (৩০)। ২ সন্তানের জননী ছিলেন তিনি।


শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে ভাটারা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য বিকেল ৪টার দিকে দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা জানান, এলাকার আলমাছ এর সেমিপাকা ভাড়াবাসা থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার হাত পা ওড়না দিয়ে খাটের পায়ার সাথে বাঁধা উপর করে শুয়ানো। আর তার গলায় মোটা জিয়াইতার দিয়ে শক্ত করে গিট দেওয়া। নাক, মুখ, চোখে নীলাফুলা যখম রয়েছে। এছাড়া শরীরের অন্য কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
নিহত আয়েশার চাচাতো ভাই মোঃ ফরিদ পিবিএকে জানান, তাদের বাড়ি। নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াবদা গ্রাম। আয়শার বাবার নাম খোকন মিয়া। জয় (১২) ও ঐষি (৮) নামের ২ সন্তানকে নিয়ে ফরাজীটোলা কবরস্থান রোডের ওই বাসায় থাকতো। তার স্বামী ট্রাক ড্রাইভার। ২ বছর আগে ২য় বিয়ে করে টাঙ্গাইলে থাকে। আয়শার সাথে তার কোনো যোগাযোগ হয়না। স্থানীয় একটি পোশাক তৈরির কারখানায় চ্করী করেন আয়শা।
নিহত আয়েশার আরেক চাচাতো ভাই তৌহিদুল ইসলাম মামুন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জসিমের বোন মৌসুমি ঐষিকে ওই এলাকারই তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। জসিমও ওই বাড়িতে এসেছে ৩/৪ দিন। এজন্যই সে মেয়েকে নিতে পাঠায়। ছেলে জয়কে নিয়ে রাতে বাসায় ছিলো আয়শা। সকালে ছেলে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মা ফ্লোরে পড়ে আছে। তার হাত-পা বাঁধা, গলায় জিয়াই তার পেছানো। পরে কান্নাকাটি করে বাইরে বের হতে গিয়ে দেখে বাসার দরজাও বাইরে থেকে বন্ধ। এসমন সময় সকাল ৮ টার দিকে মেয়ে ঐষি তাদের ওই বাসায় ফিরে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখে তার মায়ের হা পা বাধা। পরে সে তার ফুফু মৌসুমিকে ডেকে নিয়ে যায়। এবং আশেপাশের লোকজন জড়ো।হয়। পরে পুলিশে খবর দেয় তারা।

স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী জসিম মাদকাসক্ত। সম্পর্ক না থাকলেও মাঝেমাঝেই আয়শার কাছে এসে টাকা চাইতো। না পেলে তাকে মারধরও করতো। গতরাতে ওই জসিমই আয়শাকে হত্যা করে পালিয়েছে। ঘটনার পর থেকে জসিমকেও পাওয়া যাচ্ছেনা।

পিবিএ/হায়দার/হক

আরও পড়ুন...