পিবিএ/ঢামেক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এলাকায় ছুরিকাঘাতে দুই কিশোর-কিশোরী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তাদেরকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতরা হলো সবজি বিক্রেতা মিজানুর রহমান (১৫) ও দিবালোক আইডিয়াল স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী বিথী আক্তার (১৩)।
আহত মিজানুর রহমান নিজেই জানায়, তার বাবার নাম দুলাল মিয়া। বাড়ি কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়া উপজেলার চিতলিয়া গ্রামে। মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিংয়ের ৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকে। ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করে সে।
সে আরো জানায়, বিথীর সাথে তার ৩-৪ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। দুপুরে তারা দুজন ঢাকা উদ্দানে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে বেলা ৩টার দিকে দুজনে হেটে বাসায় ফিরছিল। নবোদয় হাউজিংয়ের ৪ রাস্তার মোড়ের পাশের একটি গলি দিয়ে আসার সময় ১ যুবক তাদের দু’জনকেই পেটে ছুরিকাঘাত করে বলে দাবি করে সে নিজে।
তবে ওই ছেলে কে? বা তাদের সাথে ঐ ছেলের কি সম্পর্ক বা বিরোধ সে বিষয়ে কিছু বলতে চাইনি আহত দুজনের কেউ।
আহত বিথীর বাবা আবুল হোসেন জানান, তিনি নিকে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী। তার মেয়ে বিথী মোহাম্মদপুরের দিবালোক আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার লাকপুর গ্রামে। বিকেলে তিনি খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে আহত অবস্থা দেখতে পান মেয়েকে।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, দুজনের পেটে ছুরিকাঘাত রয়েছে। দুজনেরই অবস্থাই গুরুতর। তাদের অস্ত্রোপচার করা হবে।
মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মুকুল রঞ্জন বলেন, একটি মারামারির সংবাদ আমরা পেয়েছি। ঘটনা বিস্তারিত জানার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
পিবিএ/এমএসএম