রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা নেই

পিবিএ,রাজবাড়ী: রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না জলাতঙ্ক রোগের টিকা । আপাতত ১০ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিন সাপ্লাই নাই বলে সদর হাসপাতাল জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কৃতিপক্ষ। এতে করে বিপদে পড়েছে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ।

রোগীদের সাথে কথা বলে জনা যায়,বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি থেকে এই টিকা বাজারজাত করা হলেও দাম বেশি।কাউকে কুকুর ,বিড়াল,শিয়াল,বেঁজি,বানর,বাদুর এই সকল প্রাণী কামড় দিলে ভ্যাকসিনের ৪ ডোজ নিতে হয়।সরকারি হাসপাতলগুলোতে এই টিকা বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা থাকলেও এই হাসপাতালে সরবারহ না থাকার কারণে এই সেবা পাচ্ছে না এই অ লের মানুষ।ফলে সাধারণ মানুষ টাকা দিয়ে কিনে টিকা নিচ্ছেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা নেই
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা নেই

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়,সদর হাসপাতাল জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রের সামনে টিকার জন্য অপেক্ষা করছে বেশ কিছু রোগী।ওপরে টাঙানো নোটিশ দেখে তারা হতাশ হয়ে কৃতিপক্ষকে নানা ধরনের কথা বলছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচী গ্রামের কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ আলী পিবিএকে জানান,আমার কুকুরে কামড় দিলে আমি সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসি।কিন্তু এখানে এসে ভ্যাকসিন পাই না পরে আমি ভ্যাকসিন কিনে আমার যে ৪ ডোজ সেটা শেষ করি।

সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ওষুধ থাকবে না কেন।যে ওষুধগুলো হাসপাতালে ফ্রি দেওয়া কথা সেটা কেন আমাদের দোকান থেকে কিনে নিতে হবে । সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বানিবহ গ্রাম থেকে আসা মালেকা বেগম পিবিএকে জানান,আমার ৪ টা ডোজ নেওয়া হয়েছে ।

যেহেতু হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই তাই আমরা চারজন একটা ভ্যাকসিন কিনি। একেক জনের ১২০ টাকা করে খরচ হয়।পড়ে নার্সদের মাধ্যমে আমরা ভ্যাকসিন নিই।আমাদের এখানে অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কারণ আমারা চারজন একত্র না হলে ওষুধ কেনা হয় না।আমরা চাই হাসপাতাল কৃতিপক্ষ এটার অতি তাড়াতাড়ি সমাধান করুক।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দীপক কুমার বিশ্বাস পিবিএকে জানান,কুকুর, বিড়াল যাদের কামড় দেয় তারা এই ভ্যাকসিন নিতে আসে আমরা সবাইকে ওষুধ দিই কাউকে ফেরত দেওয়া হয় না।তাহলে সেই জিনিসটা তো থাকবে না। এটা কোন ভাবেই একটানা সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব না।আবার আনতে যাবে ওষুধ আনলেই পাওয়া যাবে।

আমাদের হাসপাতালে ১ মাসে যে ওষুধ আসে সেটা ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। অনলিমিটেড জিনিস তো সরকারও দিতে পারবে না।তার পড়েও আমরা ভালো সিষ্টেম করেছি চারভাগের একভাগ দিতছে।এখানে চারজন হয়ে গেলে ১টা ভ্যাকসিন কিনে নিয়ে আসলে আমরা চার জনের দিয়ে দিই।যেখানে ১ জনের ফুলকোর্স ২ হাজার টাকার মত লাগবে। সেখানে ৫ শত টাকায় হয়ে যাচ্ছে ৪টা ইঞ্জেকশন।কম টাকায় সেই সুযোগটা আমরা করে দিতছি।

পিবিএ/সিএস/আরআই

আরও পড়ুন...