পিবিএ,রাজবাড়ী: রাজবাড়ী সরকাররি উচ্চ বিদ্যালয়েরর ১৪০ বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী লাল ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। ইতিপূর্বে ভবনটি সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রাপ্তন শিক্ষার্থীরা ও জেলার সচেতন মহল।এদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রত্বতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে মতামত দিয়েছে যে এটা যথাযথ ভাবে সংরক্ষণ করা হলে শতাধিক বছরের পুরাকীর্তি হিসেবে ভবনটি সংরক্ষণ করা যাবে। অথচ সেই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হবে নতুন ভবন তৈরি করার জন্য।
বিদ্যালয়টি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহের জমিদার গিরিজা শংকর মজুমদার ও তার ভাই অভয় শংকর মজুমদার ১৮৭৮ সালে ভবনটি নির্মান করেন। ভবনটির প্রাচীন স্থাপত্য ও সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করে। জানা গেছে,গত ৯ মে ভনটি নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্টীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বরাবর চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ শওকত আলী বলেন,এই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই তাদের কাছে।কারণ এই ভবনটি ভেঙ্গে বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন তৈরি করা হবে এখানে।বিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকার কারণে এটা না ভাঙ্গলে নতুন ভবন তৈরি করা সম্ভব না।ভবনটির কিছু অংশ ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে।তাই এটা ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরি করলে রাজবাড়ীবাসী উপকৃত হবে।
তিনি আরো বলেন,রাজবাড়ী-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ কাজী কেরামত আলী পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। বিদ্যালয়ের প্রাপ্তন শিক্ষার্থী ইমরান হাসান পিবিএকে বলেন,প্রায় দেড়শো বছরের পুরোনো ভবনটি না ভেঙ্গে প্রাচীন নির্দশন হিসেবে হিবেসে সংরক্ষণ করার দাবী জানাই আমরা ।এত বছর বিদ্যালয়টির ভবনটি না ভেঙ্গে কার্যক্রম চালাতে পেরেছে বর্তমানেও পারবে।
প্রাপ্তন শিক্ষার্থী মোঃ ইসরাফিল মন্ডল পিবিএকে বলেন,আমরা কিছুতেই এই পুরাতন লাল ভবনটি ভাঙ্গতে দিবো না। আমাদের রাজবাড়ীর জন্য এটা একটা ঐতিহ্যবাহী ভবন।যদি নতুন ভবন তৈরি করতে হয় অন্যস্থানে করুক জায়গা তো আরো আছে।
পিবিএ/সিএস/আরআই