পিবিএ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশ কাস্টমসের গতিশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, চলমান এই মুজিববর্ষে বাংলাদেশ কাস্টমস তাদের পেশাগত দক্ষতা ও সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা বৃদ্ধি, অপবাণিজ্য রোধ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং সর্বোপরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে আরো সফল হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাআলল্লাহ।’
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষ্যে সোমবার এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে আগামীকাল মঙ্গলবার ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২১’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লি¬ষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি বিশ্ব কাস্টমস সংস্থা (ডব্লিউসিও) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সংস্থাটি আধুনিক ও সহজতর উপায়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে এর সদস্যভুক্ত দেশেগুলোকে নেতৃত্ব, পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি বলেন, এ বছর কোভিড-১৯ সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারীর প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সংস্থাটি সদস্যভুক্ত ১৮৩টি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও সুসংহতকরণের লক্ষ্যে টেকসই সাপ্লাই চেইনের ওপর জোর দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘কাস্টমস ব্লস্টারিং রিকোভারি, রিনিউয়াল এন্ড রেসিলিয়েন্স ফর এ সাসটেইনেবল সাপ্লাই চেইন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী মনে করেন। শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও শিল্পায়নের ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ফলে দেশে রাজস্ব আদায়ের বহুমুখী খাত সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সুদূপ্রসারী কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই য্দ্ধুবিধ্বস্ত বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তরিত হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিন দফা সরকার গঠন করে সারাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘কাস্টমস আইন, ১৯৬৯’ রহিত করার লক্ষ্যে যুগোপযোগী, সহজ, সমন্বিত ও সুসংহত নতুন কাস্টমস আইন-২০২০ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারীতে বাংলাদেশ কাস্টমসের সদস্যরা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে রাজস্ব আদায়, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে সাপ্লাই চেইন নির্বিঘ্ন রাখতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কাস্টমস মডর্নাইজেশন স্ট্র্যাটেজিক এ্যাকশন প্ল্যান ২০১৯-২০২২ গ্রহণ ও ব্যবসায়ীদের ওয়ানস্টপ সার্ভিস প্রদানের লক্ষ্যে ৩৮টি ভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার সমন্বিত সেবা কার্যক্রম ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডোজ বাস্তবায়নও শুরু করেছি।’
তিনি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২১’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
পিবিএ/জেডএইচ