রাজারহাটের ৭টি লেভেল ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান

পিবিএ, কুড়িগ্রাম: রাজারহাটের ৭টি লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান ও ব্যারিয়ার না থাকায় জনসাধারণ ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।

উপজেলার রাজারহাট-কুড়িগ্রাম রোডের টি-১৬জে লেভেল ক্রসিং, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন টি-১৪জে লেভেল ক্রসিং, ম-লের বাজার লেভেল ক্রসিং, সিরাজ উদ্দিন এতিমখানা রোডের লেভেল ক্রসিং, উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং, রাজারহাট কারিগরি বাণিজ্যিক কলেজ-সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং এবং দিনোবাজার রেলগেটে কোনো গেটম্যান নেই। লালমনিরহাটের তিস্তা থেকে রাজারহাট হয়ে কুড়িগ্রাম-রমনা পর্যন্ত রেল সড়কে প্রতিদিন ৬ বার ট্রেন যাতায়াত করে।

অথচ এসব লেভেল ক্রসিং অরক্ষিত অবস্থায় থাকায় জনসাধারণ ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। উপজেলার অতি গুরুত্বপূর্ণ ২টি লেভেল ক্রসিং হচ্ছে রাজারহাট-কুড়িগ্রাম ক্রসিং এবং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ক্রসিং। রাজারহাট-কুড়িগ্রাম (টি-১৬জে) লেভেল ক্রসিংটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও পথচারী পারাপার হয়। রাজারহাট থেকে কুড়িগ্রাম এবং কুড়িগ্রাম থেকে রাজারহাট আসার ক্ষেত্রে এই লেভেল ক্রসিংটি পারাপারের বিকল্প নেই।

এছাড়া রেল সড়কের দুই দিকের বিভিন্ন পেশার অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন হাটবাজার ও অফিসে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদের রাজারহাটের বিদ্যাপীঠগুলোতে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রেও এই লেভেল ক্রসিং দিয়েই পারাপার হতে হয়। সম্প্রতি এই রেল গেটে ট্রেনের ধাক্কায় ডাচ বাংলা ব্যাংক এর একটি মাইক্রোবাস খাদে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ৫ জন গুরুতর আহত হন। কয়েক বছর আগে ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি কোচ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছিল। প্রায়ই ছোটখাটো দূর্ঘটনা ঘটে এ লেভেল ক্রসিংটিতে।

রাজারহাট উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী (বাপ্পী) জানান, যে সব রেলগেটে গেটম্যান নেই, সেগুলোতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত গেটম্যান নিয়োগ করা উচিত। রাজারহাট রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো: মাইদুল ইসলাম জানান, কয়েকটি রেলগেটে গেটম্যান নেই, তবে বিভিন্ন স্থানে গেটম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেসব রেলগেটে গেটম্যান নিয়োগ করা হবে।

পিবিএ/আরআই/হক

আরও পড়ুন...