পিবিএ, টেকনাফ: আটকের পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় তিন রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত তিন রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা ও চুরির অভিযোগ রয়েছে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার বালুখালী ১৭নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জামিল (২০), একই ক্যাম্পের নবী হোসেনের ছেলে আসমত উল্লাহ (২১) ও টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর নতুনপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ রফিক (২৪)।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পাহাড়ি ঢালা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রাতে ওই তিন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর ঢালা এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যায় পুলিশ।
সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনটি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ ও ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের এএসআই হাবিব উল্লাহ, কনস্টেবল বাকিবুল ও দেলোয়ার আহত হয়েছেন। তাদের টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা ও চুরির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ওসি।
পিবিএ/জেডআই