পিবিএ, ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার সময় অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দেশে ফিরেছেন শনিবার রাতে।তারা ফিরেছেন ভয়াবহ এক দুঃস্মৃতির অভিজ্ঞতা নিয়ে । শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে ক্রিকেটারদের বহনকারী বিমান ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ঢাকায় পৌঁছে বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।তার বক্তব্য থেকে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছিল, ক্রিকেটাররা এখনো রয়েছেন আতংকের মধ্যে।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, “এ বিষয় নিয়ে জানিনা কিভাবে শুরু করবো। শুধু বলবো যে আমরা খুব সৌভাগ্যবান।”
তিনি আরো বলেন, “আমি এটা বর্ণনা করতে পারবো না যে আমরা কিসের মধ্যে এখন আছি। আমরা কী দেখেছি—এটা বর্ণনা করার মতো না।”
সেখানে দলের সদস্যদের নির্ঘুম রাত কেটেছে বলেও তিনি জানান, “সারারাত আমরা ঠিকমত ঘুমাতে পারিনি। রুমের মধ্যে যখন ছিলাম একটাই কথা ছিল যে আমরা কতটুকু ভাগ্যবান।”
তিনি আরও বলেন, এটা কারও কাম্য নয়। “নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে সেটি অপ্রত্যাশিত”।
বিমানবন্দরে এরপর বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল আহসান পাপন।
তিনি বলেন, “এত লম্বা জার্নি, তারা খুব ক্লান্ত। মানসিকভাবে অনেকেই ভেঙে পড়েছে। এখন ওদের সাথে কথা বলার কিছুই নেই। আমরা ওদের বলেছি, বাসায় যাও। সবকিছু বাদ দিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় যেভাবে ভালো লাগে নিজেদের মত করে সময় কাটাও”।
গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে নামাজরত মুসুল্লিদের ওপর মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৪৮ জন। হামলার সময় ঘটনাস্থলের ৫০ গজের মধ্যে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের একটি দল।
এরপর তারা সে স্থান থেকে নিরাপদে হোটেলে পৌঁছালেও, ঘটনার পর থেকে প্রচণ্ড ট্রমার মধ্যে সময় কাটতে থাকে ক্রিকেটারদের।
এরপর নিউজিল্যান্ডের সাথে শনিবারের টেস্ট ম্যাচ বাতিল করে বাংলাদেশ দলকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয় এবং শনিবার রাত পৌনে এগারোটা দিকে দেশে পৌঁছায় ক্রিকেট দল।
নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট ঘটনার পর সেখান থেকে বলেন, “সবাই দেখেছে ঘটনাটি, এটা আমরা কখনোই চাই না, আমরা খুবই ভাগ্যবান। আমরা ১৭ জন ছিলাম, আমরা খুবই কাছে ছিলাম, ৫০ গজের মতো দূরে ছিলাম। আর তিন-চার মিনিট আগে মসজিদে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতো।”
পিবিএ/এএইচ