পিবিএ,রাবি (রাজশাহী) প্রতিনিধি: ভেঙ্গেও আবার গড়তে জানে সে চির-সুন্দর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর’- প্রতিপাদ্যে এবছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বৈশাখী উৎসব উদযাপিত হয়েছে। এতে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিশ্বের কল্যাণ কামনা করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে শহিদ মিনার মুক্তমঞ্চে উৎসবটি উদ্বোধন করা হয়।
আয়োজকদের কাছ থেকে জানা যায়, এবারের পহেলা বৈশাখে ক্যাম্পাসে ঈদের ছুটি থাকায় নিদিষ্ট সময়ে উৎযাপন করতে পারিনি তারা। ক্যাম্পাস খোলা হওয়ায় নানা আয়োজনের মাধ্যমে আজ বৈশাখী উৎসব উৎযাপন করেন সংগঠনের সদস্যরা। এতে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
এ বারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আবৃত্তি ও অভিনয় করেছেন জোটাভুক্ত সাংস্কৃতিক গঠনগুলোর কর্মীরা। এতে মহানগর ও ক্যাম্পাসের অন্য সাংস্কৃতিক সংগঠনও অংশ নেন। এর আগে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মী এতে অংশ নেন।
উৎসব উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর দীর্ঘ পথচলায় রয়েছে নানা কীর্তি। এখান থেকে তৈরী হয়েছেন অনেক নাট্যকার, সঙ্গিত শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিক। জোটের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে এসব সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয়কে গৌরবান্বিত করছে।’
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি রায়হান ইসলাম বলেন, “ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ধারার সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের রয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের এক সুদূরপ্রসারী ইতিহাস। সেই ঐতিহ্যকে ধারণ করে এবং সকল জরা কাটিয়ে ক্যাম্পাসে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। যাতে জোটভুক্ত একজন নাট্যকর্মী হয়ে ওঠে যুগ শ্রেষ্ঠ নাট্যকার, একজন সংগীতশিল্পী হয় যুগ শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতজ্ঞ। যারা শিল্প, সাহিত্য ও চেতনায় হবে অসাম্প্রদায়িক। বিশ্ব কল্যাণই হবে তাদের ব্রত। তাই ক্যাম্পাসের সকল তরুণ শিক্ষার্থীদের ছায়াতলে আসার আহ্বান জানান তিনি”।
এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু প্রমূখ।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত সংগঠন রয়েছে ৯টি। এদের মধ্যে গানের সংগঠন বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা; আবৃত্তির সংগঠন স্বনন; নাটক, আবৃত্তি ও গানের সংগঠন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও এসোসিয়েশন ফর কালচারাল এডুকেশন; নাটকের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ড্রামা এসোসিয়েশন, সমকাল নাট্যচক্র ও তীর্থক নাটক।